ভোটের আগেই নির্বাচিত হলেন হিরো আলম

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে লালমনিরহাটে পাটগ্রামে কাউন্সিলর পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন পাটগ্রামের হিরো আলম নামে পরিচিত মজিদুল ইসলাম (৩৫)। এলাকার মানুষ তাকে ভালোবেসে হিরো আলম নামে ডাকেন।

মজিদুল ইসলাম পাটগ্রাম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঝাকুয়াটারী এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। দাম্পত্য জীবনে তিনি চার সন্তানের জনক। শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস হলেও দীর্ঘ পাঁচ বছর কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় জনগণের পাশে থেকেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন মজিদুল ইসলাম। তাই এবার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পাটগ্রাম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আরফিন রতনের সহযোগী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছিলেন মজিদুল ইসলাম। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে তারই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ৪৯২ ভোটে জয়লাভ করেন।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পাটগ্রাম পৌরসভা নির্বাচন। মজিদুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ওই এলাকার জিয়াউর রহমান নামের একজন মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে এলাকায় মজিদুল ইসলামের ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে গত ২৬ জানুয়ারি তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এতে মজিদুল ইসলাম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন।

পাটগ্রাম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রতন মিয়া জানান, পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই মজিদুল ইসলাম মানুষের পাশে থাকতেন এবং এখনো আছেন। সে কারণেই মানুষ ভালোবেসে তাকে এবারেও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছেন। এলাকার মানুষ তাকে ভালোবেসে ‘হিরো আলম’ নামে ডাকেন। তিনি তাতেও খুশি।

মজিদুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এ পর্যন্ত পৌরসভার অসহায়-দুঃস্থ মানুষের জন্য ভিজিডি, ভিএসএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতার কার্ড করে দিয়েছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২০টি সরকারি ঘর বিনামূল্যে ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণের ব্যবস্থা করেছি। আল্লাহপাক যদি আমাকে বাঁচিয়ে রাখেন তাহলে আমি অবশ্যই মানুষের মাঝে সেবা করে থাকতে চাই।

মজিদুল ইসলাম আরও বলেন, এলাকার মানুষ যে নামে ডাকেন না কেন তারা আমাকে ভালোবেসে ডাকেন। আমিও সে ডাকে সারা দিয়ে এগিয়ে যাই।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবু সাঈম জানান, পাটগ্রাম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় মজিদুল ইসলাম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সূত্রঃ জাগো নিউজ২৪