মোটুটা বিছানা নোংরা করে মরতে যাচ্ছেঃ ম্যারাডোনার মৃত্যুমুহূর্তে চিকিৎসক

আর্জেন্টিনার ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেছে। তবু ম্যারাডোনার মৃত্যুকে ঘিরে আলোচনা থামছে না। মৃত্যুর সময় ম্যারাডোনার কোনো অবহেলার শিকার হয়েছিলেন কিনা তা নিয়ে চলছে তদন্ত। এর মাঝেই আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ইনফোবে ফাঁস করলেন ম্যারাডোনার মৃত্যুমহূর্তে তাঁর ডাক্তারদের মেসেজ চালাচালির কিছু স্ক্রিনশট। এই দুজন হলেন ম্যারাডোনার দীর্ঘদিনের চিকিৎসক লিওপোলদো লুক এবং মনোবিদ অগাস্তিনো কোসাচভ।

গত ২৫ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ম্যারাডোনা। মৃত্যুরদিন সকালে ম্যারাডোনাকে নিয়ে লুক ও কোসাচভের মধ্যে মেসেজ চালাচালি হয়। এসময় মিডিয়ায় ম্যারাডোনার স্বাস্থ্যের অবনতির খবর দেখে লুক তখন তার এক সহকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

মেসেজে লুক লিখেন, আমি রাস্তায় আছি। মনে হচ্ছে (ম্যারাডোনা) মারা গেছে। না, আমি বাজি ধরতে পারি, মারাই গেছে। সান আন্দ্রেজ দিয়ে, যে পথ দিয়ে আমরা সাধারণত আসি, তোমাকে সে পথ দিয়েই আসতে হবে।

এরপর লুককে তার পরিচিত একজন ম্যারাডোনার মৃত্যু সংবাদের স্ক্রিনশট পাঠায়। সেই স্ক্রিনশট দেখে লুক লিখেন, হ্যাঁ, মনে হচ্ছে তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। মোটু বিছানা নোংরা করে মরবে। কী হয়েছে কে জানে! আমি সেখানে যাচ্ছি।

এরপরেই মনোবিদ কোসাচভ লুককে লিখেন, জরুরি চিকিৎসা দল তাঁকে (ম্যারাডোনা) বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আমরা এটা ১০-১৫ মিনিট ধরে করছি। অ্যাম্বুলেন্স এখনো আসেনি। এখানে এসেই দেখেছি তাঁর শরীর ঠান্ডা। তাঁর চেতনা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা ফিরেছিল। এখন ওরা সঙ্গে আছে। তারা আমাকে কিছু জানাচ্ছে না। আমি বের হয়ে এসেছি।

কোসাচভের মেসেজের জবাবে লুক লিখেন, ওরা আমার ওপর রেগে আছে কিনা জানাও। আর দুশ্চিন্তা করো না, শান্ত থাক। যেটা হওয়ার কথা, সেটা হবেই। তিনি খুবই জটিল রোগী ছিলেন। যা হওয়ার হবে। যখন যে পরিস্থিতি আসে, তখন সেটা সামাল দেব। অগাস্টিন, চিন্তা নেই, তাঁর (ম্যারাডোনা) পরিবার তো সব জানে।

উল্লেখ্য, এর আগে ম্যারাডোনার দুই মেয়ে দালমা ও জিয়ান্নিনা বাবার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে তাঁর মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, ঘুমের মাঝে হার্ট অ্যাটাকে ম্যারাডোনা মারা গেছেন।