আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে রশিদ খানকে টপকে গেলেন মোহাম্মদ মিঠুন

নিউজিল্যান্ড সফর বাংলাদেশের জন্য সব সময় দুঃস্বপ্নে হলেও মোহাম্মদ মিঠুনের নিউজিল্যান্ডের মাঠ যেন ঘরের মাঠ। কিউইদের মাঠে ৪ ম্যাচ খেলে তিনটিতেই ফিফটি হাঁকিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে হেরে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ হারলেও ঠিকই ব্যাটিংয়ে দারুণ পারফর্ম করে ক্যারিয়ার সেরা র‍্যাঙ্কিংয়ে উঠে এসেছেন মিঠুন।

নিউজিল্যান্ডে প্রথম ওয়ানডেতে কোনো প্রাপ্তি নেই টাউগারদের। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফিফটির সুবাদে সাপ্তাহিক আপডেটে কিছুটা এগিয়েছেন তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ মিঠুন। তিন ধাপ এগিয়ে ১৯ নম্বরে উঠে এসেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম। তিনি টপকে গেছেন ম্যাক্সওয়েল ফখরের মতো ব্যাটসম্যানদের।

অন্যদিকে ৯৪ থেকে ১২ ধাপ এগিয়ে ৮২তম স্থানে উঠে এসেছেন মিঠুন। এই উন্নতিতে মিঠুন টপকে গেছেন রশিদ খান, জাদেজা, মার্করাম, চান্দিমালের মতো ক্রিকেটারদের।

অন্যদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দলকে জেতানো নিউ জিল্যান্ডের কিপার-ব্যাটসম্যান টম ল্যাথাম ক্যারিয়ার সেরা ৬৩১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছেন ৩০তম স্থানে। ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে ঢুকেছেন ম্যাট হেনরি। তিন ধাপ এগিয়ে এই পেসার আছেন আট নম্বরে। ওয়ানডেতে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন সাকিব আল হাসান, টি-টোয়েন্টিতে মোহাম্মদ নবি।

এদিকে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করা তিন ম্যাচের সিরিজে আফগানিস্তানের প্রাপ্তি অনেক। তবে এর মধ্যেও একটু আক্ষেপ থাকছে রশিদ খানের। ওভার প্রতি ৭.৬০ গড়ে রান দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। এই পারফরম্যান্সেই হারিয়েছেন শীর্ষস্থান। তাকে টপকে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার শামসি। ক্যারিয়ারে এই প্রথম র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় উঠলেন তিনি।

পাকিস্তান সিরিজের পর রশিদ খানের চেয়ে কেবল ৩ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিলেন শামসি। এখন এগিয়ে গেছেন ১৪ পয়েন্টে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে রশিদ হারিয়েছেন ১৭ পয়েন্ট। শামসির পয়েন্ট ৭৩৩, রশিদের ৭১৯।

২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় ছিলেন রশিদ খান। গত বছরের মার্চে কেবল দুই দিনের জন্য নেমেছিলেন নিচে তিনি।