দেশে করোনা শনাক্তের এক বছর পার করল বাংলাদেশ

দেশে করোনা শনাক্তের এক বছর পার করল বাংলাদেশ। ভয় ও শঙ্কা কাটিয়ে কোভিড-১৯ এখন যাপিত জীবনের অংশ। এখন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে টিকা। তবু শুরুতে যারা ভুগেছেন, অদৃশ্য এই শত্রুর এখনো অজানা আতঙ্ক তাড়া করছে তাদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকাদানে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছেন সদ্য উন্নয়নশীল তকমা লাগানো দেশটি। তবে করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতের যে ক্ষতগুলো বেরিয়ে এসেছে, ভাবতে হবে সেগুলো নিয়েও।

রাজধানীর টোলারবাগের যে বাড়ি থেকে শুরু করোনার মৃত্যুর মিছিল। সেসব দিন মনে হলে এখনো আতঙ্কে জমে যান এখানকার মানুষ। দুঃসহ স্মৃতি কিছুটা মলিন হলেও বেদনা কি ভুলতে পেরেছেন তারা?

হাজী আবদুর রহিম নাম একজন বলেন, প্রথম মৃত্যু ও দ্বিতীয় মৃত্যু আমাদের ঘরে। সেই সময়ে আমার ছেলের সঙ্গে কথা বলতেও ভয় পেতাম। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।

দেশের প্রথম লকডাউন রাজধানীর উত্তর টোলারবাগ এলাকার জীবন এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, আল্লাহর রহমতে করোনা অনেকটা কমে গেছে। এখানকার জীবনযাপন এখন অনেকটা স্বাভাবিক। ৮ মার্চ ২০২০। সব ভয় আর শঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে বাংলাদেশে শনাক্ত কোভিড উনিশ।সময় যত গড়ায়। বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউনে যায় বাংলাদেশ। গণপরিবহন থেকে শুরু করে অফিস আদালত সব বেঁধে যায় সীমিত পরিসরের বেড়াজালে। থমকে যায় সবকিছু, যেন বন্দি হয় প্রকৃতির কাছে।

৩৬৫ দিনে বাদে দেশে কোভিড উনিশ শনাক্ত ৫ লাখ ৩ হাজার ৩০ জন। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৫ লাখ ৩ হাজার ৩ জন। মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৬২ জন। বছর শেষে পরিসংখ্যানটা অন্য অনেক দেশের তুলনায় স্বস্তিদায়ক হলেও করোনার ক্ষত সবখানে।

অনেক শঙ্কা ছিল, পরিবেশ পরিস্থিতি কিংবা আবহাওয়া যাই হোক পরিসংখ্যানটা এখন স্বস্তিদায়ক মানছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে করানায় স্বাস্থ্য খাতের যে রূঢ় বাস্তবতা বের হয়ে এসেছে সেটা নিয়ে ভাবার তাগিদ তাদের।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রিদওয়ানা রহমান বলেন, ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার দূরর্দশিতা দেখেছেন। স্বাস্থসেবায় যে ধরনের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে সে জায়গাগুলোতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।

এ পর্যন্ত ৫০ লাখের বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন ভ্যাকসিন নিতে যার মধ্যে প্রায় ৩৭ লাখ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। এখন সবাই আশার আলো দেখছেন।