রাস্তার পাশে তালা-চাবির সরঞ্জাম নিয়ে বসে বাহারুদ্দিন। নকল চাবি বানানো ও নষ্ট তালা মেরামত করাই তার কাজ। বাহারের সারাইখানার পাশেই ঘোড়াগাড়ির স্টেশন। এখান থেকে প্রতিদিন গাড়িতে যাত্রী উঠিয়ে দিন শুরু হয় কমলার।
এই ঘোড়াগাড়ির মালিক তরফদার। সে ঘোড়াগাড়ি কিনে যাত্রী পরিবহনের ব্যবসা শুরু করলে তার মাথায় আসে নতুন পরিকল্পনা। যাত্রী আকৃষ্ট করার জন্য সে কমলাকে ঘোড়া সওয়ারি বানিয়ে দেয়। আসা-যাওয়ার পথে বাহারের সঙ্গে কমলার চোখাচোখি হলেও কখনও কথা হয় না।
একদিন কমলা বাহারের কাছে আসে নকল চাবি বানানোর জন্য। সেদিনই তাদের প্রথম কথা হয়। সময়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নিবিড় হতে থাকে। এরমধ্যে কমলাকে প্রেম নিবেদন করে বাহার। তবে কমলা তাকে শর্ত দেয়। বলে, যেদিন নিজের একটা ঘর হবে, সেদিন সে বিয়ে করবে।
হঠাৎ একদিন কমলার কাছে সেই সুযোগটা আসে। সে জানায়, মালিক তরফদারের স্ত্রী অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি। তরফদারকেও রাতে সেখানে থাকতে হবে। ঘর আজ ফাঁকা! তাহলে কি বিয়ে করবে তারা? এমন ঘটনা নিয়ে এগোবে কাহিনি। সেই কাহিনির নাম ‘তালাচাবি’।
এই নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন সেরনিয়াবাত শাওন। এখানে বাহার ও কমলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন ছোটপর্দার তুমুল জনপ্রিয় জুটি আফরান নিশো ও মেহজাবিন চৌধুরী। বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। যেটি ৩১ মার্চ রাত ৯টা ৫ মিনিটে এবং ১ এপ্রিল ইগল প্রিমিয়ার স্টেশনে প্রচারিত হবে।
নাটকটির প্রধান দুই চরিত্র সম্পর্কে নির্মাতা সেরনিয়াবাত শাওন বলেন, জনপ্রিয় জুটি নিশো ও মেহজাবীন। তারা যেকোনো চরিত্রে নিমিষেই মানিয়ে যান। এবারও তার প্রমাণ হবে। বিশেষ করে ঘোড়া সওয়ারি মেহজাবীনকে দেখে মুগ্ধ হবেন দর্শক।
