পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে নিহতদের স্মরণ করলো নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডে মুসলিম বিদ্বেষের কথা অকপটে স্বীকার করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন। নারী হিসেবে পোশাকের কারণে আর শিশুরা স্কুলে সব থেকে বেশি প্রতিহিংসার শিকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার দুই বছর পূর্তির আয়োজনে তিনি এ নিয়ে কথা বলেন। প্রতিশ্রুতি দেন, ধর্ম ও বর্ণবাদ বিষয়ক বিরূপ মনোভাবের মূলোৎপাটন করতে। এছাড়া হামলায় ৫১ জন নিহত ব্যক্তিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন পরিবারের সদস্যরা।

এভাবেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত আর দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলায় নিহত ৫১ জনকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।

এ ঘটনায় ৪০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। যার ক্ষত অনেকেই বয়ে বেড়াচ্ছেন শরীরে। অনুষ্ঠানে কিউই সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আলাদা এক অনুষ্ঠানে কিউই প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডার কথায় উঠে আসে, তার সরকারের বিস্তর পরিকল্পনার কথা। অকপটে স্বীকার করে নেন, অতীতের ব্যর্থতার বিষয়টি।

জাসিন্ডা আডার্ন বলেন, সন্ত্রাসী হামলার পর, আমি অনেক মুসলিম নারীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দেখে মুসলিম বলে চিহ্নিত করা যায় বিধায় তারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। স্কুলে সুমলিম শিশুরা হয়েছে বর্ণবাদের তীরবিদ্ধ। এটা একটা ভয়াবহ ও অমানবিক ঘটনা। চেষ্টা করে যাচ্ছি এমনটির সর্বাত্মক পরিবর্তন ঘটাতে।

২০১৯ সালের ১৫ই মার্চ, ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলা চালায় ব্রেন্টন টারান্ট নামে এক অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তার হামলার সময় পাশেই ছিলেন বাংলাদেশ দলের সদস্যরা। তারা অল্পের জন্য রক্ষা পান। দীর্ঘ শুনানি শেষে গেলো বছর টারান্টকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের শাস্তি দেন আদালত। নিজের শ্রেষ্ঠত্ববাদ ও মুসলিমদের হেয় চোখে দেখার কারণেই তিনি এ হামলা চালান।