বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে সত্যাগ্রহে নেমে জেলে গিয়েছিঃ মোদি

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জুড়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে আন্দোলনে নেমে জেলেও যেতে হয় তাঁকে। ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জানালেন মোদী। তাঁর মতে, নিজের রাজনৈতিক যাত্রাপথে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

দু’দিনের সফরে শুক্রবারই বাংলাদেশে পৌঁছেছেন মোদী। ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে আমি এবং সহকর্মীরা ভারতে সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেছিলাম। মোদী জানান, তখন তাঁর বয়স সবে ২০-র কোঠায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে সত্যাগ্রহ করে জেলে যাওয়ার সুযোগও হয়েছিল তাঁর।

শুক্রবার, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে মোদী হাজির হয়েছিলেন সাদা কুর্তা-পাজামার উপর কালো রঙের ‘মুজিব জ্যাকেট’ পরে। এ-মাসেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করছে বাংলাদেশ। গত ১৭ মার্চ ছিল মুজিবের ১০০ তম জন্মদিন। মোদীর মুজিব জ্যাকেট ছিল বাংলাদেশের জাতির জনকের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্যের একটি নমুনা। এ ছাড়া নিজের বক্তৃতাতেও মুজিব স্মরণে তাঁর ভাষণের একটি অংশ উদ্ধৃত করেন মোদী। বক্তৃতার ওই অংশটুকু বাংলাতে উচ্চারণ করেন মোদী।

শুক্রবার সকালে ঢাকায় পৌঁছন মোদী। পরে বিকেলে ঢাকার জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশ দিবসের উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন । এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন মোদী। নিজের বক্তৃতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে শহিদ হওয়া সংগ্রামীদের স্মরণ করেন মোদী বলেন, এইসব মুক্তি যোদ্ধাদের আত্মাহুতির কথা ভোলার নয়। আমি সেই ভারতীয়দের কথাও ভুলতে পারব না যাঁরা সেই সময় বাংলাদেশের যোদ্ধাদের সমর্থনে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। নিজের ভাষণে এ দিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নজরুল ইসলামের কবিতাও উদ্ধৃত করেন মোদী।

বক্তৃতায় মোদী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের উভয়েরই গণতান্ত্রিক শক্তি এবং ভবিষ্যৎ দর্শনের ক্ষমতা রয়েছে। তাই তাদের একযোগে সামনে এগোতে হবে। তা হলেই দুই দেশ সহজে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।

সূত্রঃ আনন্দবাজার