বিজেপির চূড়ান্ত তালিকায় নেই মিঠুন

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। সেই তালিকায় নেই সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর নাম।

আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ১৩ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও সেই তালিকায় নেই সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর নাম।

এনডিটিভি জানিয়েছে, অনেকেই বিশ্বাস করেছিলেন, রাশবেহারি আসনটি বাংলা চলচ্চিত্রের ‘দাদা’র জন্য সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু সেখানে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুব্রত সাহাকে প্রার্থী করা হয়েছে; যিনি সংকটময় বছরগুলোতে কাশ্মীরে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিজেপি সূত্র আগেই বলেছিল, ৭ মার্চ কলকাতায় বিজেপির মেগা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেওয়ার পর থেকেই মর্যাদাপূর্ণ দক্ষিণ কলকাতার আসনটি ‘ফাটাকেষ্ট’র জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল।

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুদিন আগে কলকাতায় মণীন্দ্র রোডের ঠিকানাতে ভোটার হয়েছেন মিঠুন। তারপর থেকে জল্পনা শুরু হয়, বিজেপির প্রার্থী তালিকায় তার নাম থাকতে পারে। মনে করা হয়েছিল, কাশীপুর-বেলগাছিয়া ও চৌরঙ্গি কেন্দ্রের পূর্বঘোষিত বিজেপি প্রার্থীরা বেঁকে বসায় এ দুটি কেন্দ্রের একটিতে ভোটে লড়তে দেখা যেতে পারে মিঠুনকে। কিন্তু সেই জল্পনা সত্যি হলো না।

বিজেপির চূড়ান্ত তালিকায় তালিকায় রয়েছে চৌরঙ্গি, কাশীপুর-বেলগাছিয়াও। সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে, যথাক্রমে দেবব্রত মাঝি ও শিবাজী সিংহ রায়কে। মিঠুন না থাকলেও, মঙ্গলবারের ঘোষণায় উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় রয়েছে। বনগাঁ উত্তর, গাইঘাটা ও বাগদা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। মতুয়া প্রভাবিত কেন্দ্রগুলোতে প্রার্থিপদে মতুয়াদের প্রতিনিধিত্ব থাকে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল।

সেই আলোচনাকে সত্যি করেই গাইঘাটা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হলো সুব্রত ঠাকুরকে। যিনি বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ভাই। লোকসভা উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়ে তিনি এর আগে পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূলের মমতাবালা ঠাকুরের কাছে। সেই সুব্রতকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি।

আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে ঘোষিত বিজেপি প্রার্থী অশোক লাহিড়ীকে কেন্দ্র বদলে নিয়ে আসা হয়েছে বালুরঘাটে। অটলবিহারী বাজপেয়ী ও মনমোহন সিংহ সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা অশোক রাজ্যের ভোটার না হওয়ায় আলিপুরদুয়ারে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। সেই কারণেই তাকে কেন্দ্র বদল করে ভোটে দাঁড় করানো হলো। পাহাড়ের তিন আসনেই এককভাবে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। ওই তিনটি আসনে তৃণমূল কোনো প্রার্থী দেয়নি।