বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডার: ২৩ জনের মধ্যে ১৪ ইঞ্জিনিয়ার, ৫ ডাক্তার

মেডিক্যাল, প্রকৌশলের মতো বিশেষায়িত ডিগ্রিধারীরা উল্লেখযোগ্যসংখ্যায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস-বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারে ঢুকছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মেধার জোরে ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো করে তাঁরা পররাষ্ট্র ক্যাডার হলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুটা আফসোস করেছেন তাঁদের নিয়ে, বিশেষ করে একজন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসক হিসেবে তৈরি করতে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ ব্যয় নিয়ে। চিকিৎসাবিদ্যা শেখার পর যখন একজন চিকিৎসক অন্য পেশায় চলে যান, তখন তা রাষ্ট্রের বিশাল ক্ষতি জানান তিনি।

গতকাল শনিবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) খেলার মাঠে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিকাবের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ শেষে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি জেনে খুশি হলাম যে বুয়েটের মাঠে আমার সহকর্মী সবাই আপনাদের সাবেক ছাত্র। এটা একটা বড় ধারা। স্বাভাবিকভাবেই এই ধারার কারণ হলো বুয়েটে ভালো ছাত্ররা আসে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় তারাই সফল হয়। সে কারণে আমাদের মন্ত্রণালয়ে এখন বহু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। এবার (সদ্য যোগ দেওয়া) ২৩ জনের মধ্যে ১৪ জনই ইঞ্জিনিয়ার, পাঁচজন ডাক্তার।

মন্ত্রী বলেন, এটি পুরোপুরি পরিবর্তন। ডাক্তার হলে পরে আমার দুঃখ লাগে। এত কষ্ট করে ডাক্তারি পাস হয়, যারা মানুষের সেবার জন্য…, একেবারে সরাসরি হেল্প করে। তারা পরে অন্য জায়গায় গেলে এটি রাষ্ট্রের ক্ষতি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে পড়াশোনার জন্য সরকারিভাবে যথেষ্ট অনুদান, ভর্তুকি দেওয়া হয়। আমরা খুব ভাগ্যবান জাতি যে আমাদের উচ্চশিক্ষা নিতেও নিজের পকেটের পয়সা খুব একটা খরচ হয় না। কারণ সরকার, সাধারণ জনগণ, কৃষক, শ্রমিক, বিভিন্ন ধরনের পেশার লোক আমাদের পড়াশোনা করায়।

ড. মোমেন তাঁর নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেন, অর্ধডজন ডিগ্রি করেছি। একটি পয়সাও নিজের পকেট থেকে খরচ করিনি। আমি এই দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। তাদের কারণে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি পেয়েছি।

অনুষ্ঠানে বুয়েট ও আইইউটির উপাচার্যসহ জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওই ম্যাচে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দল বিজয়ী হয়।