ভারতে শিশুদের পাঠ্যবইয়ে ইসলামবিদ্বেষী লেখা নিয়ে মুসলিমদের তীব্র ক্ষোভ

ভারতে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘সন্ত্রাস ইসলামপ্রসূত’ লেখা থাকা নিয়ে দেশটির মুসলিমদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। শিশুদের পাঠ্যবইয়ে এমন ‘বিভেদ সৃষ্টিকারী’ বক্তব্য থাকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাজস্থান মুসলিম ফোরাম (আরএমএফ)।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, আরএমএফের আহ্বায়ক মহসিন রশিদ গত ১৩ মার্চ ইউটিউবের এক ভিডিওতে ইস্যুটি তুলে ধরেন। তার অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইয়ে ইসলামবিদ্বেষী কথা লেখা রয়েছে। এর মাধ্যমে বইটির প্রকাশক সঞ্জীব পাসবুক মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে দিচ্ছে।

জানা যায়, পাঠ্যবইয়ে ইসলামবিদ্বেষী উপাদান থাকার বিষয়ে গত ১৫ ও ১৭ মার্চ পুলিশ কমিশনার আনন্দ শ্রীবাস্তবের কাছে বইটির লেখক এবং প্রকাশকের নামে অভিযোগ করেছিল আরএমএফ। তখন তাদের এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। তবে এরপর আর কোনও অগ্রগতি হয়নি।

মহসিন রশিদ বলেন, এমন একটা সময় যখন মানুষকে মিথ্যা ও ভুয়া অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে, সেখানে আপত্তিকর উপাদান জনসম্মুখে উন্মুক্ত থাকার পরেও এখনও কোনও মামলা দায়ের হয়নি। এটা দুর্ভাগ্যজনক।

শিশুদের পাঠ্যবইয়ে আপত্তিকর লেখা থাকায় রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে তুলোধুনো করেছেন আরএমএফের সদস্য নাইম রব্বানী বলেন, বুঝতে পারছি, ওগুলো লেখা হয়েছিল বিজেপির শাসনামলে, তারা যেভাবে রাজনীতি তাতে এটা প্রত্যাশিতই। কিন্তু এটা অবিশ্বাস্য যে, কংগ্রেস লেখাটি পুনঃপরীক্ষা করার পরেও সেটা সরায়নি।

বইটির প্রকাশক সঞ্জীব পাসবুকের কর্ণধার প্রদীপ মিত্তালের কাছে টাইমস অব ইন্ডিয়া ফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে তার ভাই দাবি করা রাজেশ নামে এক ব্যক্তি বলেছেন, এই ঘটনা ২০১৭ সালের এবং এর জন্য তারা ইতোমধ্যেই লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন।

এদিকে, গত বুধবার সঞ্জীব পাসবুকের একটি দোকানে লুটপাটের অভিযোগে তিন মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ওই তিনজনের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ে আপত্তিকর লেখা প্রকাশের প্রতিবাদে আরও প্রায় ৪০ যুবক বিক্ষোভ করছিলেন।