সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার দেশটির মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তিনি মারা যান।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় এ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের লাশ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতিসহ প্রবীণ ও তরুণ রাজনীতিবিদরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মওদুদ আহমদের সঙ্গে নিজের এক দশক আগের ছবি শেয়ার করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে ইশরাক লেখেন, ২০১০ অথবা ২০১১ সালে মওদুদ স্যারের সঙ্গে লন্ডনে একটি প্রোগ্রামে জীবনের প্রথম দিকের বক্তব্য রেখেছিলাম। অনেক নার্ভাস থাকা সত্ত্বেও তিনি কাছে ডেকে নিয়ে বক্তব্য দিতে বলেছিলেন আমাকে। মহান আল্লাহতায়ালা স্যারকে জান্নাতবাসী করুন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু জানান, আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় মরহুমের লাশ শহীদ মিনারে রাখা হবে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা হবে। আড়াইটায় নোয়াখালীর কবিরহাট ডিগ্রি কলেজ মাঠে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৪টায় বসুরহাটের কোম্পানীগঞ্জ সরকারি মুজিব মহাবিদ্যালয় মাঠে তার চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল সাড়ে ৫টায় মওদুদের কোম্পানীগঞ্জের বাসভবনের মানিকপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
১৯৪০ সালে ২৪ মে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ চতুর্থ।
