সাতক্ষীরায় বাঁধ ভেঙে চার গ্রাম প্লাবিত

সাতক্ষীরার আশাশুনি সদর উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের পানির তোড়ে আবারও বাঁধ ভেঙে চার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে তাদের আয়ের প্রধান উৎস চিংড়ি ঘের। বরাদ্দের পরও মূল বাঁধে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ না করায় আবারও ভাঙনের কবলে পড়েছে নদীরক্ষা বাঁধ।

গতকাল মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে সুপার মুন পূর্ণিমার গোনে নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে আঘাত হানে দয়ারঘাট বেড়িবাঁধে। চারটি পয়েন্টে ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে আশাশুনিবাসীর প্রধান আয়ের উৎস মৎস্য ঘের। তলিয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসীর মাধ্যমে দ্রুতই মেরামত করা হবে ওই রিং বাঁধ। দেরিতে হলেও মূল বাঁধ মেরামতে কাজ শুরু হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতাকে দায়ী করে আশাশুনি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন বলেন, বার বার বলার পরও দয়ারঘাটের দুটি পয়েন্টে ৯ মাসে বাঁধ নির্মাণ সম্ভব হয়নি।

এদিকে সকালে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করলেও জোয়ারের পানির তোড়ে চারটির মধ্যে দুইটি ভাঙন এলাকা দিয়ে দুপুর থেকে পানি ঢোকা শুরু করেছে। বাঁধ ভাঙনে দয়ারঘাট, দক্ষিণ জেলেখালী, জেলেখালীসহ সদরের ইউনিয়নের চারটি গ্রামের শতাধিক পরিবার মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।