প্রায় বছর দুয়েক ধরে বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকলেও এখনও সেভাবে সাফল্য এনে দিতে পারেননি রাসেল ডমিঙ্গো। হাথুরুসিংহের সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের যতটা উন্নতি হয়েছিল ঠিক ততটাই যেন অবনতি চোখে পড়ছে এই প্রোটিয়া কোচের সময়টাতে। ডমিঙ্গো না পারলেও বাংলাদেশকে সফলতা এনে দিয়েছিলেন চণ্ডিকা হাথুরুসিংহ। তাঁর সময়ে ওয়ানডেতে প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল টাইগাররা।
সফলতার পাশাপাশি বেশ কিছু দুর্নামও ছিল তাঁর। এককভাবে রাজত্ব করা কিংবা সিনিয়র ক্রিকেটার দ্বন্দ্বের মতো ঘটনা। এমনকি মাশরাফি বিন মুর্তাজার টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নেয়ার পেছনে তাঁর হাত ছিল বলেও গুঞ্জন রয়েছে। তবুও হাথুরুসিংহের মতো একজনকেই দরকার বলে মনে করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের মতে, ডমিঙ্গো নয়, হাথুরুসিংহের মতো কড়া হেড মাস্টার দরকার।
আশরাফুল বলেন, আপনি যদি দেখেন হয়তো বা খেলোয়াড়েরা যারা খেলেছে, আমি কখনও শুনি নাই হাথুরুসিংহকে কৃতিত্ব দিতে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাইরে থেকে মনে হয়েছে যে পুরো কৃতিত্বটা হাথুরুসিংহই পাবে। কারণ ওর যেভাবে পরিকল্পনা করেছে, ডমিনেট করেছে একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে। ওই সময় কিন্তু তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ ওদের থেকে সেরা পারফরম্যান্সটা আমরা পেয়েছি। তরুণরাও পারফরম্যান্স করেছে।
ক্রিকেটারদের আপত্তি থাকায় তাঁদের ছুটি দেয় ডমিঙ্গো। এ বিষয়টি একেবারে ভালো লাগেনি আশরাফুলের। তিনি মনে করেন, ডমিঙ্গো জায়গা এখানে হাথুরু থাকলে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতেই হতো। কেউ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে আপত্তি জানালে তাঁকে টেস্ট ম্যাচে নেয়া হতো না বলেও মনে করেন তিনি।
আশরাফুল বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুর্জয় ভাই বললেন, উনারা চেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খেলার আগে দুইটা চারদিনের ম্যাচ খেলবে। কিন্তু ক্রিকেটাররা বললো তারা ছুটি চায়। তারপর কি হলো, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমরা দুইটা ম্যাচই হেরে গেলাম। এটার ব্যর্থতা কার? ব্যর্থতা তো ক্রিকেট বোর্ডের হলো। খেলোয়াড়েরা চাইলো আর আপনি ছুটি দিয়ে দিলেন তাইলে তো হলো না। তো হাথুরুসিংহ যদি থাকতো তাহলে এটা এমন হতো না। ও বলতো যদি তুমি টেস্ট ম্যাচ খেলতে চাও তাহলে খেলতেই হবে তোমার। আমি মনে করি যে আমাদের ওইরকম হেড মাস্টার, কোচই প্রয়োজন।