এবার মিটিং করে রায়পুরায় হেফাজতের তাণ্ডব!

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নে গতকাল বুধবার বিকেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, তাঁতিলীগ সভাপতি আব্দুল হাদী ও ছাত্রলীগ সভাপতির পারভেজ আহমেদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ব হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। এ সময় হামলাকারীরা লাঠি, হাতুরি, রড ও দা দিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় এক নারীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। হামলার পর ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৮ মার্চ উপজেলার দৌলতকান্দি রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা হরতালের নামে নাশকতার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। ওই সময় হরতাল বিরোধী অবস্থান নেয় মহেশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তাঁতিলীগের নেতাকর্মীরা। এরই জের ধরে বুধবার বিকেলে হেফাজতের কর্মীরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বাড়িতে হামলা চালায়।

ভুক্তভোগী মহেশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজ আহমেদ জানান, স্থানীয় দুটি মাদরাসার পিন্সিপাল গতকাল মিটিংয়ের ডাক দিয়ে ছাত্র ও যুবকদের উদ্দেশে উষ্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। পরে তারা জড়ো হয়ে হামলা চালায়। সংখ্যায় তারা হাজারের কাছাকাছি। হামলাকারীদের হাতে লাঠি, দা ও রড ছিল। বাড়িতে ঢুকে জানালার গ্লাস, গ্রিরিল ভাঙচুর করে রুমে প্রবেশ করা চেষ্টা চালায়। ওই সময় বৃদ্ধা মা ও বাড়ির কয়েকজনকে মেরে আহত করে তারা।

মহেশপুর ইউনিয়ন তাঁতিলীগ সভাপতি আব্দুল হাদী জানান, বুধবার বিকেলে জামাত, বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। হামলাকারীরা ওই সময় তার স্ত্রীর গহনা ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়। হেফাজতের ডাকা হরতালের বিরোধীতা করায় এ ঘটনার শিকার হয়েছে জানান হাদী।

রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসাইন বলেন, ৭১-এর পর এত বড় ন্যক্কারজনক ঘটনা বাংলার বুকে আর ঘটেনি। গতকাল যারা হামলা চালিয়েছে তারা স্বাধীনতা, মানবতা ও ধর্মের শত্রু। ধর্মের লেবাস পড়ে তারা অপকর্ম ও ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়েছে। জনগন এই ন্যক্কারজনক ঘটনার জবাব দেবে।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা পিপিএম বলেন, এ ঘটনায় তিনজনের আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।