এবার সিনিয়র আইনজীবীর সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) প্রবেশের সময় মূল ফটকের সামনে এবার নারগিস পারভীন মুক্তি নামে এক আইনজীবী ও পুলিশের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।

গত সোমবার (১৯ এপ্রিল) আইনজীবী নারগিস ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার বাকবিতণ্ডার ১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যায়, আইনজীবী ঢাকার সিএমএম আদালত চত্বরে প্রবেশের সময় পুলিশ তার পরিচয় জিজ্ঞেস করেন।

আইনজীবী: আপনি দেখেন না আমি কে? আমার গলায় আইডি কার্ড রয়েছে। আপনি সিএমএম-এর কাছে জিজ্ঞেস করেন। পুলিশ: আপনি মুখ দিয়ে বলেন। আমি সিএমএম-এর কাছে কী জিজ্ঞেস করব? আইনজীবী: আপনি বুঝচ্ছেন না আমি আইনজীবী। আমার গলায় কার্ড আছে। পুলিশ: আপনার কার্ডটা কী আপনি বলেন? আইনজীবী: আপনি দেখলেন না আমি আইনজীবী। পুলিশ: আপনি আইনজীবী আমি কেমনে বুঝব? আইনজীবী: কেন আপনি বুঝতে পারছে না আমি আইনজীবী? পুলিশ: আপনি এত উত্তেজিত হচ্ছেন কেন? চিল্লান কেন বাবা? আইনজীবী: আমি বলছি আমি আইনজীবী। শারীরিকভাবে সুস্থ না। আমি অসুস্থ। তারপরেও আমার সাথে তর্ক করছে।

এরপর আরেক আইনজীবী এসে বলেন, উনি এখানের সিনিয়র আইনজীবী। আমাদের ভার্চুয়াল কোর্ট চলছে। এরপর একাধিক আইনজীবী এসে ঘটনার রেশ টানেন।

পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার প্রসঙ্গে আইনজীবী নারগিস পারভীন মুক্তি বলেন, আমি গতকাল (সোমবার) ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানির জন্য বাসা থেকে বের হই। আমাকে একবার পোস্তগোলা ব্রিজের সামনে পুলিশ সিএনজি থেকে নামিয়ে দেয়। তারপর আমি অনেক পথ হেঁটে রিকশা নিয়ে রায় সাহেব বাজারের সামনে এলে আবারও রিকশা থেকে নামিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর হেঁটে সিএমএম আদালতের মেইন গেটের সামনে আসি। তখন আমাকে ভেতরে ঢুকতে দেয় না পুলিশ। জিজ্ঞেস করে আমি কে? অথচ আমার গলায় আইনজীবীর আইডি কার্ড। আমি ওই পুলিশকে বারবার বললাম আমি আইনজীবী, আমার গলায় আইডি কার্ড রয়েছে। তাছাড়া আমি অসুস্থ, অনেক পথ হেঁটে এসেছি। তারপরও আমাকে এভাবে তর্কে জড়ালেন।

নারগিস পারভীন মুক্তি আরো বলেন, আমাদের আদালত ভার্চুয়াল হলেও আদালতের পেপারস, ডকুমেন্টস শারীরিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদালতে জমা দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের আদালতে যেতে হয়। আমার প্রশ্ন, আইনজীবীদের আইডি কার্ড সঙ্গে থাকার পরেও পুলিশ কেন এত হয়রানি করবে?