ত্রিশ বছর পর রমজানে বসোনিয়ার মসজিদে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত চালু

দীর্ঘ ত্রিশ বছর পর বসোনিয়া-হার্জেগোভনিয়ার রাজধানী সারায়েভোর ফারহাদিয়া মসজিদে কোরআন তেলাওয়াতের ঐতিহ্য পুনরায় চালু হয়েছে।

উসমানি সম্রাজ্যের ঐতিহ্য হিসেবে রমজান মাসে পবিত্র কোরআন খতম দেওয়া হতো। রমজানের প্রতিদিন মসজিদগুলোতে কোরআনের নির্দিষ্ট অংশ সুরলিত কণ্ঠের অধিকারী কেউ পাঠ করেন। উপস্থিত মুসল্লিরা তা মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকেন। রমজান মাসের শেষে তেলাওয়াতকারী ও শ্রোতাদের পুরো কোরআন খতম হয়।

১৯৯২-১৯৯৫ সালে যুদ্ধ ও হত্যাযজ্ঞের সময় ষষ্ঠদশ শতাব্দির ঐতিহাসিক মসজিদে রমজানের প্রাচীন ঐতিহ্য স্থগিত ছিল। দীর্ঘ তিন দশক পর মসজিদের এ ঐতিহ্য পুনরায় শুরু হয়। প্রতিদিন চারজন হাফেজ ও মসজিদের ইমাম কোরআন তেলাওয়াত করবেন। স্থানীয় সময় অনুসারে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১১টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শুরু হয়। ইন্টারনেটেও তা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

রাজধানী সারায়োভোর ফারহাদিয়া মসজিদ বলকান অঞ্চলে মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন। ১৬ শতাব্দিতে অনিন্দ্য সৌন্দর্যের প্রতীক মসজিদটি নির্মাণ করেন বসনিয়ার সানাকের গভর্নর ফেরহাট ভুকোভিচ দেশিসিলিক।

তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ ওয়ালিজ বলেন, মুসলিম বিশ্বে কোরআন তেলাওয়াত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঐতিহ্য। দীর্ঘ ৩০ বছর পর আমরা ইতিমধ্যে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের জন্য হাফেজদের নিয়ে এসেছি।

মুহাম্মদ ওয়ালিজ আরো বলেন, একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ফারহাদিয়া মসজিদের ঐতিহ্য থেমে ছিল। কিন্তু আমরা পুনরায় এ ঐতিহ্য চালু করেছি। এখন থেকে এ ঐতিহ্য প্রতি বছর চলতে থাকবে। উসমানি ঐতিহ্য অনুসারে রমজানে বসনিয়ার মসজিদে হাফেজরা কোরআন তেলাওয়াত করছেন।

১৬৯৭ ও ১৮৭৯ সালে অগ্নিকাণ্ডের সময় মসজিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বসনিয়া যুদ্ধের সময়ও পুনরায় তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক বার তাতে সংস্কারমূলক কাজ হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে সংস্কারমূলক কাজের পর মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি