দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখীর তাণ্ডব

দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখীর তাণ্ডব বয়ে গেছে। গাইবান্ধায় গাছ চাপা পড়ে মারা গেছেন দুই নারীসহ অন্তত ১০ জন। গোটা জেলা আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৩০ জন। বিভিন্ন স্থানে বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক হাজার বাড়িঘর ও গাছপালা।

রোববার (০৪ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে গাইবান্ধায় হঠাৎ প্রচণ্ড বেগে দমকা ও ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়। টানা একঘণ্টা গাইবান্ধায় তাণ্ডব চালায় কালবৈশাখী। লণ্ডভণ্ড হয় জেলা সদরসহ পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। বাতাসের তোড়ে ভেঙে পড়ে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। উপড়ে যায় শতশত গাছপালা। এসময় ভয়ে দিগবিদিক ছুটোছুটি করেন স্থানীয়রা।

গাছের নিচে চাপা পড়ে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। ঝড় থেমে গেলে আহত অন্তত ১০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক ও ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- মধুখালি উপজেলার বাজিতপুরের মো. জাহিদের স্ত্রী হালিমা ও তার এক বছর চার মাস বয়সী মেয়ে আফসানা।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে নির্মাণাধীন দোকানের উড়ন্ত টিনে গলা কেটে রবিউল ইসলাম নামের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তিনি দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের শশিধরপুরের সাদ মন্ডলের ছেলে।