মুসলিম সহপাঠীদের দেখে হলিউড ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

নব্বইয়ের দশকে ব্রিটিশ হলিউড জগতে অভিনয়ের মাধ্যমে মরিয়াম ফ্রাংকয়েস সেররাহ পরিচিত হয়ে ওঠেন। খুব ছোট বয়সে ‘সেন্স অ্যান্ড সেন্সিবিলিটি’ নামের ফিল্মে অভিনয় করে সুনাম কুড়ান তিনি। এমিলি ফ্রাংকয়েস ছিল তাঁর পূর্ব নাম। ইসলাম গ্রহণের পর যুক্তরাজ্যে ইসলামসংশ্লিষ্ট ভিডিও সিরিজ ‘ইন্সপায়ার্ড বাই মুহাম্মদ’ তৈরি করে আবারও খ্যাতি লাভ করেন।

মরিয়াম বলেন, কেমব্রিজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে আমি ইসলাম গ্রহণ করি। এর আগে আমি একজন সংশয়বাদী ক্যাথলিক পরিবারের সদস্য ছিলাম, যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় রূপকে অস্বীকার করে। বেশি কিছু বিষয় আমার জীবনে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে। প্রথমত মহানবী (সা.)-এর জীবনী ও পবিত্র কোরআন সম্পর্কে গভীর ভাবনা আমাকে প্রবলভাবে নাড়া দেয়। আমার মনে হয়, প্রচলিত ইতিহাসে যাদেরকে অত্যন্ত ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তদের অন্যতম হলেন মুহাম্মাদ (সা.)।

মরিয়াম আরও বলেন,ইসলাম গ্রহণের পর থেকে পবিত্র কোরআন আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। আগে তা আমি রাগের বশে পড়তাম। কেননা তখন মুসলিম বন্ধুদের ভুল প্রমাণের চেষ্টায় তা পড়া হতো। কিন্তু এখন নিজের জীবনকে সুন্দর করতে খোলা মনে তা পড়ি। পবিত্র কোরআনের প্রথম সুরা ফাতিহা আমাকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে খুবই নাড়া দেয়।

মন্দ কাজের জবাবে ভালো ব্যবহার করবেন এটাই হচ্ছে মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা। মনে রাখবেন, আল্লাহ ন্যায়বিচার পছন্দ করেন। তাই মানুষ আপনার বিরুদ্ধে অন্যায় কাজ করলেও আল্লাহর সামনে আপনার নৈতিকতাবোধ ও বাধ্যবাধকতা আছে। ন্যায় পন্থার পক্ষাবলম্বন করে কখনো তা সীমা লঙ্ঘন করা যাবে না। ইসলামের নিজস্ব সৌন্দর্য উপলব্ধি করুন। আপনি যখন নিজের মধ্যে, সমাজ ও মানবকল্যাণে ইসলাম অনুসরণ করবেন তখন এর সৌন্দর্য ফুটে উঠবে।

সূত্র: আরব নিউজ