ভেঙে দেয়া হতে পারে হেফাজত, বাদ পড়ছেন বাবুনগরী-মামুনুলরা!

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সহিংস ঘটনার পর মামলার জালে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা কোনঠাসা হয়ে পড়ে। ওই সময়ে গ্রেপ্তার এড়াতে বেশিরভাগ নেতা গা ঢাকা দেন। হেফাজতে ইসলামের বর্তমান কমিটি যেকোনো সময় ভেঙে দেয়া হতে পারে। সর্বশেষ হেফাজতের শীর্ষ পর্যায়ের ১৩ নেতা গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন আরও হেভিওয়েট অন্তত ৩৫ নেতা।

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, কওমি মাদরাসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সব সিদ্ধান্ত নেবে নির্ধারিত বোর্ড ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’। মাদরাসা পরিচালনায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারবে না হেফাজতে ইসলাম।

এসব ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে নতুন প্লাটফরম গড়তে চাইছে একটি গ্রুপ। তারা চাইছে যেহেতু হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। তাই ইসলাম প্রচার নিয়েই থাকতে চান তারা। এক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারেন হেফাজত আমির বাবুনগরিসহ তার অনুসারী অন্তত দুই ডজন নেতা। গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অপর একটি সূত্র জানায়, বর্তমানে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়াজ মাহফিলের প্রবনতা বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। একেক মাওলানা তার মনগড়া মতবাদ দিয়ে ইসলামকে নানাভাবে উপস্থাপন করছে। একে বিভ্রান্ত হচ্ছেন সাধারন মুসল্লিরা। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মও প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছেনা। এ সমস্যা সমাধানে সরকার একটি বোর্ড গঠন করতে যাচ্ছে। এই বোর্ডের অনুমতি নিয়ে ওয়াজ মাহফিল করতে হবে। যেসব মাওলানা ওয়াজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করবেন তারা এই বোর্ডের অনুমতি চাইবেন। পেলে ওয়াজ করেতে পারবেন, না পেলে পারবেন না।