রেডিও শুনে পবিত্র কোরআন হেফজ করলেন একজন রাখাল

মুসলিমদের জন্য পবিত্র কোরআন মুখস্থ করা অনেক বড় পূণ্যের কাজ। সাধারণত শৈশবেই মুসলিম শিশুরা কোরআন হেফজ সমাপ্ত করে থাকে। তবে স্মৃতিশক্তির তারতম্যের কারণে এতে কম-বেশি সময় লাগে।

ফিলিস্তিনের মরুভূমিতে বাস করা একজন রেডিওতে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াত শুনে হেফজ সম্পন্ন করেছেন আলহাজ সালামাহ আলি নামে একজন রাখাল কয়েক বছর যাবত ছাগল চড়ানোর সময় রেডিওতে কোরআন শুনতেন। নিয়মিত শুনে শুনে তিনি পবিত্র কোরআনের হেফজ সম্পন্ন করেন।

আলহাজ সালামাহ বলেন, ১৯৮৩ সালে পবিত্র কোরআন হেফজ শুরু করি। ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় চার বছর পর হেফজ সমাপ্ত হয়। কারণ ওই সময় আমাদের এলাকায় কোনো হাফেজ কিংবা হেফজখানাও ছিল না। এলাকার করুণ পরিবেশ আগের মতোই বহাল আছে।

সালাহ জানান, হেফজের সময় পেছনের পাঠ পুনরায় পড়া খুবই জরুরি। নতুবা পঠিত সবকিছু ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এক্ষেত্রে রেডিওতে কোরআন শোনার ব্যবস্থা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করে। তখন আমিও তাঁদের সঙ্গে কোরআন পুনরাবৃত্তি করতাম। নিজের ছাগল চড়ানোর সময় আমি রেডিওতে কোরআন শুনতাম। এভাবে আমি তাজবিদের সব রীতি-নীতি আয়ত্ত করি। ফলে অত্যন্ত বিশুদ্ধ ও সুন্দরভাবে কোরআন পড়তে পারি।

মরু অঞ্চলে সীমিত জ্ঞানের অধিকারী মানুষের সঙ্গে আমার সাক্ষাত হয়। তাই আমি মনে করি, বইপাঠ সবার জন্য জরুরি। গভীর অধ্যয়ন ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই। তাই সবাইকে কোরআন পাঠের অনুরোধ করব। কোরআন না পড়ে অন্য কিছু পাঠে মনোযোগী হওয়া নিজেকে দুর্বল করে রাখবে।

আমি মরুভূমিতে বাস করি, যেখানে কোনো হেফজখানা বা হাফেজ বলতে কিছুই নেই। তদুপরি কোরআন হেফজের ক্ষেত্রে ‘নিঃসঙ্গতা ও অফুরন্ত অবসর সময়’ আমাকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করে। সর্বোপরি মহান আল্লাহর সার্বিক সহায়তা তো আছেই। আমার এখন ষাট বছর। কিন্তু আমি এখনও পবিত্র কোরআন বার বার পড়তে থাকি।

সূত্র: আল জাজিরা