শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আবুল কাশেম ফজলুল হক বাঙালি রাজনীতিবিদ। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাঙালি কূটনীতিক হিসেবে পরিচিত লাভ করেন। রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের নিকট শেরেবাংলা এবং ‘হক সাহেব’ নামে পরিচিত ছিলেন। এ. কে. ফজলুল হক (পাকিস্তানের প্রকৃত স্থপতি) ১৮৭৩ সালে ২৬ অক্টোবর বরিশাল জেলার রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আদি পৈতৃক নিবাস পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায়।[৩] তিনি কাজী মুহম্মদ ওয়াজেদ এবং সাইদুন্নেসা খাতুনের একমাত্র পুত্র ছিলেন।

আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে শেরে বাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ ছিলেন উপমহাদেশের এক অসাধারণ প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ। তিনি কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭-৪৩), পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পূর্ব বাংলার গভর্নরের (১৯৫৬-৫৮) পদসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। যুক্তফ্রন্ট গঠনে প্রধান নেতাদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

জেপির নেতৃদ্বয় বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক আজীবন এদেশের সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। বিশেষ করে, এদেশের কৃষক সমাজের উন্নয়নের জন্য তিনি ঋণসালিশি বোর্ড গঠন করেছিলেন এবং জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত করেছিলেন। তিনি বাঙালির জন্য ডাল-ভাতের রাজনীতি করতেন।

শেরে বাংলা ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠন তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতের কর্মসূচি পালন করেছে।