শেখ জাররাহ এলাকার পর এবার পূর্ব জেরুজালেমের সিলওয়ান এলাকা থেকে ফিলিস্তিন দুই পরিবারকে বাধ্যতামূলক উচ্ছেদ করতে চায় ইসরায়েল। জোরপূর্বক উচ্ছেদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয় প্রতিষ্ঠান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (২৬ মে) বিষয়টি নিয়ে জেরুজালেমের আদালতে শুনানি শুরু হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার উপপরিচালক সালেহ হিগাজি বলেন, এটি ফিলিস্তিনিদের জোরজবস্তিমূলক বাস্তুচ্যুত করার ইসরায়েলের অপরাধী নীতির আরেকটি চিত্র।
সালেহ হিগাজি আরও বলেন, অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারারাহে পরিকল্পিত জোরপূর্বক উচ্ছেদের বিরুদ্ধে তুমুল লড়াইয়ের পরও আদালতের মামলা চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল সহিংসতার সর্বশেষ উত্থানের শিখার আগুনে জ্বলে উঠছে। এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অভিন্ন পদ্ধতিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিগত কয়েক বছর যাবত ইসরায়েল সিলওয়ান এলাকায় অবৈধ স্থাপনা সম্প্রসারণ করছেন। ইতিমধ্যে জোরজোবস্তিমূলক দুই শয়ের বেশি ফিলিস্তিনিকে তাদের ঘর-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়।
সালেহ জানান, জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকায় ফিলিস্তিনি পরিবার উচ্ছেদে সাম্প্রতিক সময়ের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ সুস্পষ্ট বার্তা দেয় যে ইসরায়েলের জমি দখল কারো নজরে পড়বে না এমনটি নয়। বরং সিলওয়ানের বাতন আল হাওয়া ও অন্যান্য এলাকায় ইসরায়েলের অবৈধ দখলের পরিকল্পনা বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধাপরাধের সমতুল্য এ ধরনের জোরপূর্বক উচ্ছেদ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের নিষেধাজ্ঞাকে লঙ্ঘন করে।
পূর্ব জেরুজালেমের ওল্ড সিটির বাইরে সিলওয়াল এলাকা অবস্থিত। এতে প্রায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনি বসবাস করে। বর্তমানে এখানে মাধ্যমে অসংখ্য অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা বাস করছে। ১৯৮০ সাল থেকে আশাপাশের এলাকাগুলোতে ইসরায়েল নিজের নাগরিকদের সরানো শুরু করে। ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ ফিলিস্তিনিদেরকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে।