নন্দীগ্রামে লড়াই চলছিলো সেয়ানে সেয়ানে। নন্দীগ্রামের মাটিই একসুতোয় বেঁধে দিয়েছিল তাঁদের। আর সেই মাটিতেই একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিলেন শুভেন্দু-মমতা। তবে জমি আন্দোলনের ভূমিতে শেষমেশ মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের মুখেই হাসি ফুটল। তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপি-তে যাওয়া শুভেন্দুকে ১২০১ ভোটে পরাজিত করলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই।
গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বিজেপি-তে যোগ দেন শুভেন্দু। তার পর লাগাতার মমতা ও তাঁ ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যান তিনি। তবে শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে সম্পর্কের শেষ পেরেক পোতেন মমতা নিজেই। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, সেখান থেকেই তাঁর বিপক্ষে ভোটে লড়বেন তিনি।
ভারতের নির্বাচন কমিশন সাইট থেকে সর্বশেষ প্রাপ্ত ফলাফলঃ তৃণমূল পেয়েছে ২০৮ টি, বিজেপি পেয়েছে ৮১ টি এবং অন্যান্যরা পেয়েছেন ৩ টি আসন।
তার পরই নীলবাড়ির লড়াইেয় বাংলার রাজনীতির যাবতীয় সমীকরণ উল্টে যায়। ১০ মাস আনুষ্ঠাানিক ভাবে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন মমতা। ওই দিনই নন্দীগ্রামে আক্রান্ত হন মমতা। পায়ে আঘাত পান। তা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে তরজা চরমে ওঠে। বিজেপি-র হেভিওয়েট নেতারা শুভেন্দুর হয়ে সেখানে সভা করে এসেছেন। সেই তুলনায় নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সভা ছিল মমতা-সর্বস্বই। তবে সেখানে জেতা নিয়ে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মমতা।