মুসলিমদের সম্মানার্থে রমজানের রোজা রাখছেন অমুসলিম পুলিশ কর্মকর্তা

মুসলিম সহকর্মীর প্রতি সংহতি প্রকাশ ও মুসলিমদের সম্মানার্থে পবিত্র মাহে রমজানের রোজা পালন করছেন একজন অমুসলিম পুলিশ কর্মকর্তা। লন্ডনের দক্ষিণ ম্যানচেস্টারের ওয়াইথেনসাওয়ে শহরে এমনই ধর্মীয় সম্প্রীতর প্রতিচ্ছবি দেখা যায়।

ম্যানচেস্টার ইভিনিং নিউজ থেকে জানা যায়, সার্জেন্ট কাসেম হানিফ ওয়াইথেনসওয়ে শহরে পুলিশের দায়িত্ব পালন করেন। মুসলিম সহকর্মীর প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে সার্জেন্ট কেভিন গ্যামন্ড পবিত্র রমজানের সব রোজা পালন করছেন।

রোজা রাখার অনুভূতি জানিয়ে সার্জেন্ট গ্যামন্ড বলেন, রমজান মাস শুরু হওয়ার পর কাসেম রোজা সম্পর্কে কথা বলেন। তখন আমি তাঁকে বললাম, আমিও তোমার সঙ্গে রোজা রাখব, যদি তুমি চাও। আমি তাঁকে সহযোগিতা করতে চাই। আমিও তা পারি কিনা তা দেখার একটি বাস্তবভিত্তিক চ্যালেঞ্জ।

গ্যামন্ড আরো জানান, বিষয়টি আমার জন্য কঠিন ছিল। কিন্তু আমি ব্যর্থ হইনি। কারণ আমি ব্যর্থ হলে আমাকে এক শ বার বার্পিজ করতে হবে। এমন হুমকি আমার মনোবলকে দৃঢ় রেখেছে। তবে আমি সকালের কফি ও নাস্তাকে খুবই মিস করি। প্রায়ই রাতেরবেলা আমি জেগে থাকি। দুই তিন বারের মতো আমি নাস্তা করি। নতুবা দিনের বেলা আমার মাথা অনুভূত হয়। সত্যিই এটি ভিন্ন রকম অনুভূতি।

ঈদের দিন উদযাপন করতে তাঁরা বিশেষভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সার্জেন্ট গ্যামন্ড জানান, আমরা ওই দিন ডিউটি করব। ওই দিনের জন্য বিপুল পরিমাণ খাবার অর্ডার করছি। শুধু তাই নয়, এই দুই সহকর্মী বন্ধু আগামী ১২ মে অনুষ্ঠিতব্য ঈদও একসঙ্গে উদযাপন করবেন। এজন্য নানা পদের রকমারি খাবার তৈরি করবেন। একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় তাঁদের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ও হৃদ্যতা।

সার্জেন্ট হানিফ জানান, গ্যামন্ড ও আমি একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু রোজা পালন করায় খাবার তাঁর বাক্সে থাকছে যা আমাকে খুবই কষ্ট দেয়। সে আমাদের সঙ্গে রোজা রাখছে। অবশ্য তাঁর রোজা পালনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বস্তুত পবিত্র রমজান মাস আমাদেরকে ক্ষুধার্ত ও অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে শেখায়। বিশ্বের সব অসহায় ব্যক্তিদের স্মরণ করে আল্লাহর ভয় অর্জনে আমরা রোজা পালন করি।

সূত্র: ম্যানচেস্টার ইভিনিং নিউজ