আইপিএল এর পর বিশ্বকাপও হাতছাড়া হচ্ছে ভারতের

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ধাক্কায় আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে আইপিএল। ফের কবে শুরু হবে তা এখনও জানানো হয়নি। একের পর এক ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্রিকেটার। যার জেরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে কলকাতার ম্যাচটি বাতিল করতে হয়েছে। চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরেও করোনা হানা দিয়েছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান সাহা এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্রার রিপোর্ট মঙ্গলবারই পজিটিভ আসে। তারপরেই টুর্নামেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয় বিসিসিআই।

কয়েকদিন আগেই বিসিসিআই’র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, আইপিএলের বায়ো-বাবল পরিবেশই নাকি সবচেয়ে নিরাপদ। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হলো আইপিএলের বায়ো-সিকিউর পরিবেশ কিন্তু তাদের সেই গর্বের বায়ো-সিকিউর পরিবেশ নিমিষেই ভেদ করে ফেলেছে করোনাভাইরাস। যার ফলে টুর্নামেন্টটিকে স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।

সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬টি দেশকে নিয়ে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা রয়েছে ভারতের মাটিতে। কিন্তু সে সময়ে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে ভারতে। এমনটাই শঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে পারে আইসিসি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এমনটাই জানিয়েছে।

পিটিআই’র খবর অনুযায়ী, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয়ার পক্ষপাতী অনেকেই। সেটাই যদি হয়, তাহলে করোনার জন্য টি-টোয়েক্টি বিশ্বকাপও হচ্ছে না ভারতের মাটিতে।

বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এখনই হাল ছেড়ে দিতে রাজি নন। কলকাতার সংবাদমাধ্যমকে সৌরভ বলেছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে আরও কিছুটা সময় রয়েছে। আমরা করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। আগামীদিনে পরিস্থিতির বিচার করে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।