আল্লাহ আমাকে কবুল করেছেন বলেই মর্যাদাকর স্থান পেয়েছিঃ জায়েদ খান

ঢাকাই সিনেমার সাংগঠনিক চিত্রনায়ক জায়েদ খান। মোহাম্মদ হান্নান পরিচালিত ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দার ক্যারিয়ার শুরু করেন। তারপর কাজ করেছেন হাতে গোনা কয়েকটি সিনেমায়। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তার সাংগঠনিক দক্ষতার প্রশংসা করেছেন সিনিয়র থেকে হাল আমলের অনেক অভিনয় শিল্পী। বিশেষ করে শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়ে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। জায়েদ খান নিজেকে ধর্মভীরু বলে দাবি করেন। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি জীবনে মদ স্পর্শ করিনি’।

নিজের এসব গুণের জন্য নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন জায়েদ খান। তার জন্মভূমি পিরোজপুরের মাছিমপুর এলাকার আল হেরা জামে মসজিদের সভাপতি করা হয়েছে তাকে। গত বুধবার সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন জায়েদ খান নিজেই। তারপর থেকে মোটামুটি আলোচনায় এ অভিনেতা।

সিনেমার নায়ক এখন মসজিদ কমিটির সভাপতি। বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই দেখছেন ফিল্মপাড়ার বাসিন্দাদের অনেকে। নতুন এ দায়িত্ব পেয়ে গর্বিত জায়েদ খান, কারণ এ মসজিদের সঙ্গে তার বাবার স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তিনি মনে করেন, আল্লাহ তাকে কবুল করেছেন।

জায়েদ খান বলেন, ‘আল হেরা জামে মসজিদ থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমাকে মসজিদ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে জানিয়ে উপহরণস্বরূপ জায়নামাজ ও টুপি তুলে দেওয়া হয়। অনেকের ধারণা সিনেমার মানুষ খারাপ। এখন অনেকের ভুল ভাঙবে। আল্লাহ আমাকে কবুল করেছেন বলেই এমন একটি মর্যাদাকর স্থান পেয়েছি।’

মসজিদ কমিটির সভাপতি হয়েই মুসল্লিদের কথা চিন্তা করে দুই টনের একটি এয়ারকন্ডিশনার উপহার দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জায়েদ খান। সিনেমার পাশাপাশি সামাজিক কাজেও নিজেকে নিয়োজিত করেছেন জায়েদ খান। গড়ে তুলেছেন ‘সাপোর্ট’ নামের একটি মানব কল্যাণ সংস্থা। পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করে সংগঠনটি।