খাদ্য সংকটের দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

বিশ্বে নতুন করে খাদ্যসংকটে পড়েছে আরও দুই কোটি মানুষ। একদিকে চলমান করোনাভাইরাস অন্যদিকে এই মহামারির কারণে ছড়িয়ে পড়া অর্থনৈতিক সংকট এই অভাবকে আরও প্রকট করে তুলেছে। সেই সঙ্গে আছে আবহাওয়ার পরিবর্তন ও যুদ্ধ-সংঘাত।

বিশ্বের খাদ্য-নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর জোট ‘গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অ্যাগেইনস্ট ফুড ক্রাইসিস’ এক যুগ ধরে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নাম এসেছে মূলত কক্সবাজার জেলার কারণে। এই জেলার ১২ লাখ বাসিন্দার ৭০ শতাংশই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশ সরকার এবং বৈদেশিক উন্নয়ন সংস্থাগুলো তাদের খাবার, বাসস্থান ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সহায়তা করে আসছে।

খাদ্য সংকটের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের নাম উঠে এসেছে রাজনৈতিক সংঘাত ও যুদ্ধের কারণে। আফগানিস্তানের ২৯ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছে। আর পাকিস্তানের আশ্রয় শিবিরে আছে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, করোনার কারণে বাংলাদেশের শিশুদের কৃশকায় অবস্থা থেকে উন্নতির জন্য যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হত, তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনার আগের সময়ের তুলনায় ৭৪ শতাংশ কার্যক্রম নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সহায়তা ২০১৯-এর তুলনায় অর্ধেকের বেশি বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু ২০২০ সালে করোনার কারণে এসব আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার ৬২ শতাংশ ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

প্রতিবেদনের দেওয়া তথ্যানুসারে খাদ্য সংকটে থাকা শীর্ষ দেশগুলো হচ্ছে সিরিয়া, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, বুরকিনা ফাসো, হন্ডুরাস, মোজাম্বিক, সিয়েরা লিওন, উগান্ডা ও ক্যামেরুন। এছাড়া বুরকিনা ফাসো, দক্ষিণ সুদান ও ইয়েমেনের ১ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ খাদ্যসংকটের কারণে মৃত্যুর মুখে আছে।