পবিত্র কাবার নিচের অংশই পৃথিবীর প্রথম জমিন

পবিত্র কাবা শরীফ পৃথিবীতে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ পাকের একটি নিদর্শন। পৃথিবী সৃষ্টির সূচনাকাল থেকেই মহান আল্লাহ পাক কাবাকেই তার মনোনীত বান্দাদের মিলন মেলা হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। কাবা ইসলামের রাজধানী হিসেবে একটি পরিচিত নাম। পৃথিবীতে মাটির সৃষ্টি এই কাবাকে কেন্দ্র করেই।

হাদিসে এমন আছে যে, কাবার নিচের অংশটুকু পৃথিবীর প্রথম জমিন। বিশাল সাগরের মাঝে এর সৃষ্টি। ধীরে ধীরে এর চারপাশ ভরাট হতে থাকে। সৃষ্টি হয় একটি বিশাল মহাদেশের। এক মহাদেশ থেকে সৃষ্টি হয় সাত মহাদেশের।

মক্কা ও কাবার পরতে পরতে লুকিয়ে আছে হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর পদচিহ্ন স্মৃতি। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ পাক কাবা সম্পর্কে বলেছেন, স্মরণ করুন সেই সময়কে যখন আমি ইব্রাহিমকে বাইতুল্লার স্থান নির্ধারণ করে বলেছিলাম যে আমার সঙ্গে কাউকে শরীক কর না। একনিষ্ঠতাই অন্যতম উপকরণ ছিল কাবার।

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের বিরল কিছু ঐতিহাসিক ছবি নিলামে তুলছে নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত সোথেবি’স হাউজ। অনলাইনে সোথেবির ভ্রমণ, মানচিত্র এবং প্রাকৃতিক ইতিহাস শ্রেণিতে এসব ছবির নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। ছবিগুলোর মধ্যে ১৭৯১ সালে প্যানারোমিক এঙ্গেলে তোলা পবিত্র কাবা শরীফের একটি ছবিও রয়েছে। ৪৩০ বাই ৮৬৫ মি মি এ বাঁধাইকৃত ছবিটিই সে সময়ের সবচেয়ে বড় ছবি।

ছবিতে দেখা যায়, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজযাত্রীরা আরাফাতের পাহাড়ে এসে সমবেত হচ্ছেন -এটিই সে ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ১৭৯১ সালে ইস্তাম্বুলের পেরায় সংঘটিত হওয়া অগ্নিকাণ্ড থেকে মাত্র কয়েকটি কপি ছবি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। এরপর দীর্ঘদিন সেগুলো অপ্রয়োজনীয়, অকেজো হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল। আজকের দিনে নিলামে এই বিশেষ ছবিটির আনুমানিক মূল্য ধরা হচ্ছে ১২ হাজার থেকে ১৮ হাজার পাউন্ড। সোথেবিতে মক্কা ও মদিনার বিভিন্ন চিত্র নিলামে তোলা হচ্ছে, যা চলবে এ মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত।

কাবা অনেক বার পুনর্গঠন হয়েছে। বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আবার হামলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, কাবা মোট ১২ বার পুনর্গঠিত হয়েছে। সর্বশেষ কাবায় পুনর্গঠন এর কাজ হয় ১৯৯৬ সালে। কাবা নির্মাণে অংশগ্রহণ করেছেন হজরত আদম (আ.), হজরত ইব্রাহিম (আ.) এবং সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মাদ (স.)।