সামাজিক মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতারাই ‘অসামাজিক’

বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক ব্যবহৃত টিকটক, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোর প্রতিষ্ঠাতারাই নাকি ‘অসামাজিক’!

ফিনান্সিয়াল টাইমসের একটি খবর জানাচ্ছে, জাং ইমিং টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটডান্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন, কারণ তিনি নাকি খুব একট ‘সামাজিক’ নন। একা করা যায় এমন কাজেই তিনি আগ্রহী।

কেবল জাং ইমিং নন, এমনকি সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গও নাকি একইরকম।

ফেসবুকের সিওও শেরিল স্যান্ডবার্গ দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বেশ আগে একবার বলেছিলেন, মার্ক বেশ লাজুক এবং অন্তর্মুখী। অপরিচিত লোকজনের মধ্যে তাকে খুব চুপচাপ মনে হয়।

টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক ডরসিও নাকি তোতলামির জন্য একপর্যায়ে কথা বলা কমিয়ে দেন, যতটা সম্ভব একা থাকা শুরু করেন।

স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পিগেল তো নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি সামাজিক যোগাযোগে বেশ অপরিপক্ব। স্ন্যাপচ্যাটের এই সহপ্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়নে তাকে আরও চেষ্টা করতে হবে। যোগাযোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, তা নাকি তিনি ধরতেই পারেননি!

অন্যদিকে ছবি শেয়ার করার অ্যাপ ইনস্টাগ্রামের সহপ্রতিষ্ঠাতা মাইক ক্রিগার নিজেই ছবি শেয়ার করেন না নিজের অ্যাকাউন্টে। তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের অধিকাংশ ছবিই নিজের পোষা কুকুরের। একসময় অবশ্য তিনি বলেছিলেন, তারও বহির্মুখী হতে ইচ্ছে করে।

একই কথা প্রযোজ্য পিন্টারেস্টের প্রতিষ্ঠাতা বেন সিলবারম্যানের ক্ষেত্রেও। তিনি বলেছেন, অনেক মানুষ ইন্টারনেট-নির্ভর প্রতিষ্ঠান দাঁড় করান, কারণ তারা কিছুটা অন্তর্মুখী। একসময় তারা মুখোমুখি হন বহির্মুখী দুনিয়ার সঙ্গে। এই অভিজ্ঞতা অদ্ভুত।

তবে নিজেরা অন্তর্মুখী হলেও সহজ এবং জনপ্রিয় এই যোগাযোগ মাধ্যমগুলো প্রতিষ্ঠা করে তারা একুশ শতককে তারা সামাজিক যোগাযোগের উৎকর্ষের শতাব্দীতে পরিণত করেছেন।