সাধারণ ছুটির কথা চিন্তা করছে সরকার

দিন যত যাচ্ছে ততই ভয়ংকর হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। লকডাউনে মানুষের বেপরোয়া চলাচলের কারণে দেশে করোয়া সংক্রমণ বাড়ছে। এখনই যদি করোনার লাগাম ধরে না রাখা যায় তবে ভবিষ্যতে দেশটি বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

করোনা সংক্রমণ রোধে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সাধারণ ছুটির কথা চিন্তা করছে সরকার। সম্প্রতি করোনাসংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের আগে থেকেই কঠোর বিধি-নিষেধ বা লকডাউনের বিষয়টি নিয়ে সরকারের নীতি-নির্ধারকদের ভেতরে আলোচনা হচ্ছিল। তবে অর্থবছরের শেষ, জাতীয় সংসদ অধিবেশন চলা, উত্তরবঙ্গের আম মৌসুমসহ সার্বিক অর্থনীতির কথা চিন্তা করে কঠোর সিদ্ধান্তে যেতে দ্বিধান্বিত ছিল সরকার।

আজ সোমবার (২৮ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে বিকেলে মন্ত্রিপরিষদসচিব সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রিসভা বৈঠকের বিষয়সংক্রান্ত তথ্য জানাবেন। সেই সময় আগামী বৃহস্পতিবারের কঠোর লকডাউনের বিষয়েও কিছু ইঙ্গিত দিতে পারেন বলে জানা গেছে।

ঘন বসতির ঢাকাকে বাঁচাতে আশপাশের সাতটি জেলায় লকডাউন দিয়ে সরকার পরীক্ষামূলক সতর্ক অবস্থা নিয়েছিল। সাত জেলার লকডাউন কার্যত কোনো ফল দেয়নি। উল্টো সংক্রমণ ও মৃত্যুসংখ্যা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী শাটডাউনের দিকেই যাচ্ছে সরকার। তবে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে সেটা বাস্তবায়নের পরিকল্পনায় এগোচ্ছেন নীতি-নির্ধারকরা।

এ ব্যাপারে গতকাল রাতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারের একজন সচিব বলেন, সাধারণ ছুটির মতোই অবস্থা থাকবে। সাধারণ ছুটি ঘোষণা হবে কি না তা বলতে পারছি না।

সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহলের একাধিক উচ্চপর্যায়ের সূত্রের সঙ্গে কথা বলে সাধারণ ছুটির চিন্তার কথা জানা গেছে। তবে সরকারি প্রজ্ঞাপনে ঠিক ‘সাধারণ ছুটি’ ঘোষণা করা হবে কি না তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।