আমাদের নাম্বার ওয়ান ইস্যু ১১ লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবর্তনঃ নিউইয়র্কে পৌঁছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু ও এলডিসি ফিফ্থ কনফারেন্স আলোকে জাতিসংঘে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্যে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন।

১৩ জুন রবিবার অপরাহ্নে নিউইয়র্কে জেএফকে এয়ারপোর্টে পৌঁছালে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার কর্মকর্তারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা অবস্থার আলোকে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে একটি আলোচনা হবে। সেখানে আমরা বাংলাদেশের অবস্থান উপস্থাপন করবো। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, যতশীঘ্রই এই ১১ লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবর্তন। এটি হচ্ছে আমাদের নাম্বার ওয়ান ইস্যু।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন উল্লেখ করেন, ‘বার্মায় সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অনেকে দেশটিতে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা নিয়ে বেশী চিন্তিত। তবে আমরা সরব থাকবো, যুক্তির অবতারণা করবো, গণতন্ত্র হউক আর যাই হউক, আমাদের নাম্বার ওয়ান ইস্যু হচ্ছে এই যে, ১১ লাখ রোহিঙ্গা বড় কষ্টে আছে, তাদের ছেলে-মেয়েদের বিশেষ কোন ভবিষ্যত নাই। অন্তত: এদের কারণেই যেন সকলকে ফেরৎ নেয়া হয়-এ ব্যাপারে জোরালো আহবান রাখবো বিশ্ব ফোরামে। জাতিসংঘে এটি একটি বড় ইভেন্ট।

২০ জুন ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগের আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বাইডেন প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন রাজনীতিক-পেশাজীবী- সমাজ সংগঠকদের সাথেও করোনার টিকা ইস্যুতে কথা বলবেন ড. মোমেন।

এছাড়া, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি এবং মুজিব বর্ষ উপলক্ষে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, নিউ হ্যামশায়ার, জর্জিয়া, লুইজিয়ানা, ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রক্লেমেশন, রেজ্যুলেশন ছাড়াও কংগ্রেসে এ সম্পর্কে একটি প্রস্তাব উত্থাপনে যারা কাজ করেছেন তাদের সাথেও কথা বলবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মার্কিন মুল্লুকে বাংলাদেশের ইমেজ মহিমান্বিত করতে সামনের দিনগুলোতে কীভাবে জোরালো ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া যায় সে সব প্রাধান্য পাবে ঐ আলোচনায়।

এদিকে, জেএফকে এয়ারপোর্টে কাতার এয়ারলাইন্সে অবতরণের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা। নেতৃবৃন্দের মধ্যে এয়ারপোর্টে আরো ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানসহ কর্মকর্তারা, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়াসহ কর্মকর্তাগণ।