কঠোর লকডাউনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে বেড়েছে যাত্রীর চাপ

প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা করেছে সরকার। আর অনির্দিষ্টকালের লকডাউনের ঘোষনা শোনার পর রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। এতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। যানবাহনের পাশাপাশি ফেরি পারাপার হচ্ছেন হাজারও মানুষ।

আজ শনিবার (২৬ জুন) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফেরিতে পণ্যবাহী ট্রাক ও জরুরি যানবাহন থেকে যাত্রীর সংখ্যাই বেশি। তবে কাউকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। আবার অনেকে মুখে মাস্কও পরেননি। শুধুমাত্র পণ্যবাহী ও জরুরি যানবাহন পারাপারের কথা থাকলেও ফেরিতে ব্যক্তিগত গাড়িও পারাপার হতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ বলেন, নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। সকাল থেকে যাত্রীদের কিছুটা ভিড় রয়েছে। তবে গাড়ির চাপ নেই। লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারের কথা থাকলেও যাত্রীরা ঘাটে আসছে। যাত্রী নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আমাদের নয়।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, সবাইকে লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে কিন্তু যাত্রীরা বিভিন্নভাবে ঢাকা থেকে ঘাটে আসছে। আবার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা যাত্রীরা ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছে।