বর্তমানে কোথাও খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই: কৃষিমন্ত্রী

করোনাকালেও দেশের মানুষের খাদ্যসংকট হয়নি। বর্তমানে কোথাও খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই বরং জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি আরো বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্যনিরাপত্তায় বর্তমান সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। দরিদ্র, গরিব ও দুস্থ মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনিতে আনতে ৬৫টিরও বেশি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ৫০ লাখ পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দিচ্ছে। ফলে করোনাকালেও দেশের মানুষের খাদ্যসংকট হয়নি। বর্তমানে কোথাও খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই বরং জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে।

আজ শনিবার (২৬ জুন) রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষায় প্রস্তাবিত বাজেট’ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রবৃদ্ধিকে ধরতে পাকিস্তানের আরও কমপক্ষে ১২ বছর সময় লাগবে। এছাড়া শিক্ষা, মাতৃমৃত্যু হ্রাস, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও খাদ্যনিরাপত্তায় বাংলাদেশ ভারত থেকে এগিয়ে রয়েছে। দারিদ্র্যমোচন ও উন্নয়নে বাংলাদেশের এ সাফল্য পুরো পৃথিবীতেই প্রশংসিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এর প্রশংসা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট খুবই যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত। এবারের বাজেটে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন প্রদানে নিশ্চিয়তাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

এছাড়া সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যাতে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি হয় এবং গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থান করা যায়।’