ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

সারাদেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও আগামীকাল বুধবার বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে দু’টি সংগঠন।

আজ মঙ্গলবার (২১ জুন) পৃথক বিবৃতিতে অবিলম্বে বুয়েট প্রস্তাবিত রিকশাবডি, গতি নিয়ন্ত্রক, উন্নত ব্রেকসহ ব্যাটারি চালিত রিকশা রাস্তায় চলতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দু’টি সংগঠন।

এক বিবৃতিতে তারা বলেন, সারাদেশে ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক, গণবিরোধী ও তুঘলকি উল্লেখ করে ওই সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও আগামী ২৩ জুন বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহাদৎ খাঁ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, যখন ব্যাটারি রিকশা বিক্রি হলো, যন্ত্রাংশ আমদানি করা হলো তখন সরকার কোনো ব্যাবস্থা না নিয়ে এখন দরিদ্র মানুষের রুটি-রুজি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। লাখ লাখ রিকশা চালক চড়া সুদে ঋণ নিয়ে অথবা সম্পত্তি বিক্রি-বন্ধক রেখে ব্যাটারি রিকশা কিনেছে। এই রিকশা শ্রমিকদের অমানবিক শ্রম লাঘব করেছে। উপরন্তু গণপরিবহন হিসেবে এখনও শহর ও গ্রামে রিকশা অপরিহার্য। তাই কোনো যুক্তিতে সরকার ব্যাটারি রিকশাচালকদের সর্বশান্ত করে পথে বসিয়ে দিতে পারে না।

ক্ষোভ প্রকাশ করে পৃথক দু’টি বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, গত দেড় বছরে করোনা মহামারি ও টানা লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ নানা পেশার শ্রমিক এবং কর্মহীন, বেকার ও ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকের পাশে সরকার ও মালিক শ্রেনী দাড়ায়নি। করোনার মহামারিতে নতুন করে আরো আড়াই কোটি মানুষসহ দেশের ৫০ ভাগের উপরে মানুষ যখন দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে। সেই সময়ে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে কর্মরত ৫০ লাখ রিকশা, ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান, ইজিবাইক, নসিমন, করিমন চালককে বেকার ও কর্মহীন করার চক্রান্ত চলছে। টাস্কফোর্সের সভায় নেওয়া ওই সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও গণবিরোধী।