ব্রাজিলের পর, সেভেন আপ এর স্বাদ লাটভিয়াকেও উপহার দিল জার্মানি

সেই ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ঘরের মাঠ ‘মিনেইরোজো’তে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছিল জার্মানি। যা ফুটবল–সমর্থকদের কাছে ‘সেভেন আপ’ নামে পরিচিত। ব্রাজিলের পর, ডুজেলড্রফে সেই সেভেন আপ এর স্বাদ লাটভিয়াকেও উপহার দিল জার্মানি। প্রীতি ম্যাচে লাটভিয়াকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

আজ সোমবার (০৭ জুন) রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় লাটভিয়া ও জার্মানি। প্রথমার্ধেই ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। ১৯ মিনিটে বাম প্রান্তের সীমানা লাইন থেকে হাভার্টজের বাড়ানো পাসে গোলমুখের দরজা খোলেন গোজেন্স। গোল খেয়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই আরও একবার ব্যবধান বাড়ায় জার্মানি। ২১ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান গুন্দোয়ান।

একের পর এক আক্রমণে লাটভিয়া শিবিরদের ডিফেন্ড ভেঙ্গে দেয় জার্মানি। নিজেদের গুছিয়ে উঠার আপ্রাণ চেষ্টা চালায় তারা। কিন্তু ২৭তম মিনিটে গোজেন্সের পাসে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে শটে ব্যবধান বাড়ান মুলার। ৩৯তম মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে হাভার্টজের নেওয়া শট ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠান গোলরক্ষক ওজলস। বিরতির আগে স্কোরলাইন ৫-০ করেন জিনাব্রি।

প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশে ১৫টি শট নেয় জার্মানি, এর ৬টি ছিল লক্ষ্যে। সবশেষ দেখায় ২০০৪ ইউরোর গ্রুপ পর্বে জার্মানির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করা লাটভিয়া শট নিতে পারে কেবল একটি। দেশের হয়ে শততম ম্যাচ খেলতে নামা গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ারকে বিরতির আগে দিতে হয়নি কোনো পরীক্ষা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নামার চার মিনিট পরই জালের দেখা পান ভেরনার। জসুয়া কিমিচের পাসে কাছ থেকে গোলটি করেন চেলসির এই ফরোয়ার্ড। ৭৫তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে চমৎকার গোলে ব্যবধান কমান লাটভিয়ার মিডফিল্ডার সাভেলিয়েভস। অবশ্য পরের মিনিটেই কাছ থেকে বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান আবার বাড়িয়ে নেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা সানে।

আগামী ১৫ জুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইউরোর পথচলা শুরু করবে জার্মানি। ‘এফ’ গ্রুপে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল ও হাঙ্গেরি।