ভোট শুরুর ১ ঘণ্টা পর কেন্দ্রে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরুর ১ ঘণ্টা পর কেন্দ্রে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার কারণে কিছু সময় ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল।

আজ সোমবার (২১ জুন) সকাল ৯ টার দিকে কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের হাইস্কুল কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, সকাল পৌনে ৯টার দিকে নৌকা মার্কার পক্ষে কর্মী-সমর্থকরা কেন্দ্রদখলের সময় চশমা মার্কার এজেন্টসহ কয়েক কর্মী-সমর্থক বাধা দেন। এদিকে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা তাদের এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তিন রাউন্ড গুলি ও কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় চশমা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন লাভলুর ১০ কর্মী-সমর্থক আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত রাশমোন দাশ (৪০) ও আতাউর রাব্বিকে (৩০) বাউফল হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চশমা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন লাভলু জানান, এ ঘটনার পর ওই কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের হাইস্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রিয়াজুল এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

বাউফুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমামুন বলেন, একই স্থানে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা চালানোর সময় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া কনকদিয়া ইউনিয়নের বীরপাশা ও গাবতলী সরকারি প্রাইমারি স্কুল কেন্দ্রে নৌকার পক্ষে ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।