লকডাউনের মেয়াদ আরো বাড়তে পারে

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের (বিধিনিষেধ) মেয়াদ আরো বাড়তে পারে। মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাব অনুমোদন দিলে বুধবার (১৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরো ১০ দিন অর্থাৎ ১৬ জুন মধ্যরাত থেকে ২৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ গত ৬ জুন বিধিনিষেধের মেয়াদ ১০ দিন বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেই মেয়াদ শেষ হবে আজ বুধবার মধ্যরাতে। কিন্তু দেশে করোনা পরিস্থিতি ফের অবনতিশীল। করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছাড়ানো রোধে ইতোমধ্যে সীমান্তের জেলাগুলোতে কঠোর লকডাউন দেয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরো ৫০ জন মারা গেছেন। এই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরো তিন হাজার ৩১৯ জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে লকডাউন শুরু হয়। সেই শিথিল লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর।

পরে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। পরে ছয় দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

এর আগে বন্ধ থাকলেও সর্বশেষ গত ২৩ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিধিনিষেধ বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলা বাস, লঞ্চ এবং ট্রেনসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলার অনুমতি দেয়া হয়। একই সঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক মানুষকে সেবা দেয়ার অনুমতি পায়। জেলার মধ্যে গণপরিবহন আগে থেকেই চালু ছিল।

এছাড়া লকডাউনে আগে থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা ছিল। খোলা ছিল শিল্প-কারখানা। এছাড়া জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি অফিস সীমিত পরিসরে চলছে। সীমিত পরিসরে হচ্ছে ব্যাংকের লেনদেন।