শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে যোগ দেননি কওমি আলেমরা

দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার সরকারি উদ্যোগ নিয়ে বৈঠক ডেকেও তা স্থগিত করেছে কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ। আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে লকডাউন শুরু হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে হাইয়াতুল উলইয়ার স্থায়ী কমিটির বৈঠকটি স্থগিত করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২৬ জুন) দুপুরে হাইআতুল উলইয়ার স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহ-সভাপতি মাওলানা মুসলেহুদ্দীন গহরপুরী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাওলানা মুসলেহুদ্দীন গহরপুরী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে যে ‘অফিস আদেশ’ এসেছে এ বিষয়ে সোমবার আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ওইদিন থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের সদস্যরা আসতে অসুবিধায় পড়তে পারেন। সে বিবেচনায় এটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে কওমি মাদ্রাসা খোলার বিষয় ছিল না। এ বিষয়ে আল-হাইআতুল উলয়ার পক্ষ থেকে সরকারের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মাদ্রাসা খোলার বিষয়টি আলোচ্য সূচিতে থাকা সময়ের অন্যতম দাবি ছিল। ১৫ সদস্যের ওই কমিটিতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, জননিরাপত্তাবিষয়ক বিভাগের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসার ছয় বোর্ডের চেয়ারম্যানকেও পদাধিকার বলে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশের সব কওমি মাদ্রাসাসহ ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসা আলাদাভাবে পরিচালিত ছয় বোর্ডকে সমন্বয় করে একটি কওমি শিক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।