সু চির বিচার শুরু, হতে পারে ১৫ বছরের জেল

সেনা অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির বিচার শুরু করেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার।

আজ সোমবার (১৪ জুন) নেপিদোর আদালতে শুরু হওয়া এই বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে সু চি জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

একটি দাতব্য সংস্থার নামে জমি অপব্যবহারের সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এর আগে তার বিরুদ্ধে অর্থ ও স্বর্ণ ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রেডিও ব্যবহারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টে মামলা দায়ের হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সু চি তার ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্নীতির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাই তাকে দুর্নীতি দমন আইনের ৫৫ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়। এই আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে তার জন্য ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

এক বিবৃতিতে সু চির মুক্তির দাবী করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন বলেছেন, সু চির বিরুদ্ধে যে বিচার হচ্ছে তা অবান্তর, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এই মামলা প্রত্যাহার করা দরকার।

চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সু চিকে গৃহবন্দি রাখা হয়। সু চি ও তার দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করে সামরিক জান্তা সরকার।