স্কুল বন্ধ, শিক্ষকদের বাসা থেকে ব্যাগ কাঁধে বের হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

লকডাউনে মানুষের বেপরোয়া চলাচলের কারণে দেশে করোয়া সংক্রমণ বাড়ছে। এখনই যদি করোনার লাগাম ধরে না রাখা যায় তবে ভবিষ্যতে দেশটি বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। করোনা সংক্রমনের রোধে দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। কিছু কিছু জায়গায় সরকারী বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে চলছে কোচিংসহ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

নতুন খবর হচ্ছে, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পরেও লক্ষ্মীপুরে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও প্রাইভেট শিক্ষকদের বাসা-বাড়ি থেকে ব্যাগ কাঁধে বের হতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। করোনার শুরু থেকে দেশব্যাপী স্কুল-কলেজসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে লক্ষ্মীপুরে কিছু সরকারি শিক্ষক তাদের প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করেননি। যাদের প্রতিটি ব্যাচে ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থীর মিলন ঘটে।

আজ সোমবার (২৮ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সামনে থেকে চকবাজার পর্যন্ত দোকানপাট খোলা ও ব্যাগ কাঁধে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা দেখা যায়।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, করোনার শুরু থেকেই পড়ালেখা বন্ধ। এতে তাদের মেধা দুর্বল হয়ে পড়ছে। এছাড়া স্কুল-কলেজে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হয়। পড়ালেখা বন্ধ থাকলে তা দেওয়া সম্ভব না। এজন্য শিক্ষকদের কাছে নিয়মিত প্রাইভেট পড়েন। মাঝে কয়েক মাস প্রাইভেট বন্ধ ছিল বলে জানান তারা।

তবে প্রাইভেট শিক্ষকের কাছ থেকে আসায় শিক্ষার্থীদের দলবদ্ধ দেখা গেছে। রিকশা ব্যতীত অন্যান্য যান চলাচলে নিষেধ থাকলেও ব্যাটারিচালিত ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। বাজারে আসা জনসাধারণের মুখে মাস্ক ব্যবহার বেড়েছে।