অফসাইড হলেও বাতিল হবে না ডি মারিয়ার গোল

শ্বাসরুদ্ধকর সেমিফাইনালের পর কোপা আমেরিকার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মেসির আর্জেন্টিনা। এ নিয়ে ১৫ বার কোপা জেতা হয়েছে তাদের। রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টা ঐতিহ্যবাহী মারাকানা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ১-০ গোলে পরাজিত করেছে মেসিরা। দলের পক্ষে একমাত্র গোল করেন ডি মারিয়া।

প্রশ্ন উঠেছে, ডি মারিয়ার গোলটি কি অফসাইড নিয়মে বাতিল হওয়ার যোগ্য ছিল না? যে নিয়মে ব্রাজিলের রিচার্লিসনের গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। অনেকে সরলরেখা এঁকে দেখিয়ে দিচ্ছেন ডি মারিয়া অফসাইডে ছিলেন।

গোলের আগে রদ্রিগো ডি পলের লম্বা পাস ধরে ডি মারিয়া যখন এগিয়ে যান তখন এক পলকে অনেকের কাছে মনে হয়েছে ওটা অফসাইড।

বিশেষজ্ঞরা জানান, হ্যা, ডি মারিয়া বল রিসিভ করার মুহূর্তে অফসাইড পজিশনেই ছিলেন ডি মারিয়া। কিন্তু এতে গোল বাতিলের কিছু ঘটেনি। জবাবে ব্রাজিল সমর্থকরা মনে করতে পারেন একইরকম ঘটনায় দুই দলের জন্য দুই নিয়ম কেন? এর ব্যাখ্যায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডি মারিয়া অফসাইড থাকলেও আর্জেন্টিনার গোলটি আইনসিদ্ধ। এর কারণ খুবই সোজা।

ডি মারিয়া রিসিভ করার আগে বল ব্রাজিলের ১৬ নম্বর জার্সি পরা ডিফেন্ডার রেনান লোদির পা ছুঁয়ে গিয়েছিল। এ কারণেই এটা আর অফসাইড নয়। ফুটবলে এমন উদাহরণ অনেক আছে। এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপেও এমন ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের দশম মিনিটেই গোল করেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড লুকাকু। সেই গোল নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক।

দ্রিস মের্টেনস যে ক্রসটি লুকাকুর উদ্দেশে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিপদমুক্ত করতে গিয়ে রাশিয়ার সেমেনভের পায়ে লাগে ও একটু দূরে ছিটকে যায়। দৌড়ে গিয়ে সেখান থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বল জালে পাঠান লুকাকু। অর্থাৎ লুকাকু অফসাইডে থাকলেও বল সেমেনভের পায়ের ছোঁয়াতে বদলে দিয়েছে পরিস্থিতি। নিয়ম অনুযায়ী যে দলের বিগোল বাতিল করেননি রেফারি।

ফিফার নিয়মও বলছে তাই। যে দলের বিপক্ষে আক্রমণ হচ্ছে সেই দলের কোনো খেলোয়াড় যদি বলটি খেলেন (তা বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য বা বিপদমুক্ত করার জন্যই হোক), তাহলে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় আর অফসাইড হবেন না। সে অর্থে অফসাইডে থাকলেও ডি মারিয়ার গোলটি আইনসিদ্ধ হবে।