আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়া ম্যাচে সর্বোচ্চ ফাউল ও হলুদ কার্ডের রেকর্ড

কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলম্বিয়াকে পরাজিত করে ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়েছে আর্জেন্টিনা। যেখানে আগে থেকেই তাদের অপেক্ষা করছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল। কোপার এবারের আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনাকে আটকে দিতে ম্যাচের শুরু থেকেই শারীরিক ফুটবলের প্রদর্শনীতে ব্যস্ত ছিল কলম্বিয়া। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাতে যোগ দেয় লিওনেল স্কালোনির দলও। ফাউল ও হলুদ কার্ডের রেকর্ড গড়া ম্যাচটি ৯০ মিনিটে শেষ হয় সমতায়। টাইব্রেকারে দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ত্রাতা ছিলেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। তিনটি শট ঠেকিয়ে দলকে তিনি নিয়ে যান ফাইনালে। টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে জিতেতে ফাইনালে উঠে মেসির আর্জেন্টিনা।

আগামী রবিবার (১১ জুলাই) সকাল ৬ টায় রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

কোপা আমেরিকায় তৃতীয়বারের মত আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার ম্যাচ গড়াল টাইব্রেকারে। প্রতিবারই জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ১৯৯৩ আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে সেমি-ফাইনালে কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়েছিল তারা।

লিওনেল স্কালোনির কোচিংয়ে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হওয়া চার ম্যাচের কোনটিতেই ৯০ মিনিটে জয়ের দেখা পায়নি আর্জেন্টিনা (৩ ড্র, ১ হার)। কলম্বিয়ার বিপক্ষে সবশেষ ১০ ম্যাচে দুই বার জয়ের দেখা পেয়েছে আর্জেন্টিনা (৫ ড্র, ৩ হার)।

চলতি আসরে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪৭টি ফাউল হয়েছে। কলম্বিয়া করেছে ২৭টি আর আর্জেন্টিনা ২০টি। দুইয়ে আছে কলম্বিয়া ও একুয়েডরের মধ্যকার টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ (৩৫টি ফাউল)।

এক ম্যাচে হলুদ কার্ডের সংখ্যা হিসেবে ম্যাচটি মহাদেশীয় প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বোচ্চ (১০টি)। কলম্বিয়ার খেলোয়াড়দের দেখানো হয়েছে ৬টি হলুদ কার্ড, আর্জেন্টিনাকে ৪টি।