আয়া সোফিয়া মসজিদে শেষদিন পর্যন্ত শোনা যাবে আজান-কোরআন তেলাওয়াতের ধ্বনি

তুরস্কের বিখ্যাত স্থাপনা ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড মসজিদ হওয়ার বর্ষপূর্তি উদযাপিত হয়েছে। গতকাল শনবিার (২৪ জুলাই) এক টুইট বার্তায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বর্ষপূর্তিতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।

আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড মসজিদের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক টুইট বার্তায় এরদোয়ান লিখেন, ‌‌‌আয়া সোফিয়া আমাদের সভ্যতার সূর্য পুনরুত্থানের প্রতীক। সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাদের এমন দিনের দেখার সৌভাগ্য দিয়েছেন। আমি আশা করি, এখানের আজান, সালাত ও কোরআনের তেলাওয়াতের ধ্বনি শেষদিন পর্যন্ত শোনা যাবে।

এরদোয়ান টুইট বার্তায় প্রথম দিন অনুষ্ঠিত নামাজের ভিডিও প্রকাশ করেন। দীর্ঘ ৮৬ বছর পর সেখানে আজান শোনা যায়। দীর্ঘ ৮ দশক পর অনুষ্ঠিত নামাজে উপস্থিত মুসল্লিদের আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়।

এদিকে গত শুক্রবার (২৩ জুলাই) ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য বিষয়ক কমিটি তুরস্ককে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালের মধ্যে ‘সম্পত্তি সংরক্ষণের একটি হালনাগাদ প্রতিবেদন’ জমা দিতে বলেছে। এতে আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রুপান্তর করায় ইউনেস্কোর কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ইউনেস্কো কমিটির মন্তবের নিন্দা জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত আয়া সোফিয়া ও কারিয়া মসজিদ তুরস্কের নিজস্ব সম্পত্তি। এর ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক মর্যাদা তুরস্ক রক্ষা করে চলছে।

২০২০ সালের ২৪ জুলাই দীর্ঘ ৮৬ বছর পর আয়া সোফিয়ায় প্রথম জুমা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে নির্মাণের পর ৯১৬ বছর পর্যন্ত আয়া সোফিয়া খ্রিস্টানদের একটি চার্চ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ১৪৫৩ সাল থেকে ১৯৩৪ সাল তা মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ৮৬ বছল তা জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৮৫ সালে তা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকার অন্তর্ভূক্ত হয়।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি