আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত শতাধিক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মাঝে তিন দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামসু নামের এক যুবক মৃত্যুবরণ করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যায় সামসু। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের সহকারী সার্কেল পুলিশ সুপার মো. আবির হোসেন।

পুলিশ সুপার মো. আবির হোসেন জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদকসহ অবৈধ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বজলুর মেম্বার ও জয়নাল গ্রুপের সাথে যুবলীগ কর্মী শাহিন ও রাজা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। এই বিরোধের জেরে গত ৩/৪ দিন ধরে তাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে শতাধিক মানুষ আহত হয়। এই সংঘর্ষেই জয়নাল গ্রুপের সামসু আহত হয়।

দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা বিপুল পরিমাণ গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। নিরীহ মানুষের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর লুটপাট চালিয়েছে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে পুরো এলাকা পরিণত হয়েছে রণক্ষেত্রে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে একটি পিস্তলসহ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শেখ রাসেল নগর সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের গ্রুপের সঙ্গে শাহিন ওরফে সিটি শাহিন গ্রুপের বিরোধ চলছে। গত রোববার (০৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উভয় গ্রুপের লোকজন রামদা, চাপাতি, তলোয়ার, বল্লম, সামুরাই, চাইনিজ কুড়াল ও ছুরি সহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন ধরেই দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল অভিযান পালিয়ে ৬ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার ও পিস্তলসহ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছি। এছাড়াও এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।