জম্মু-কাশ্মীরে পশু কোরবানী নিষিদ্ধ করা হয়নি

বিশ্বের মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে পবিত্র ঈদ উল-আজহাকে সামনে রেখে পশু জবাই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এমন একটি খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন জানায়, যে আগামী সপ্তাহে মুসলমানদের কোরবানীর ঈদ উদযাপন উপলক্ষে পশু জবাইয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। ‘অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’ এর দেওয়া যে চিঠিকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে পশু সুরক্ষা আইনের আওতায় এটি প্রতিবছর করা হয়ে থাকে।

ভারতের এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা জিএল শর্মা জানিয়েছেন, এটি কোন নিষেধাজ্ঞা নয়, অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার বোর্ড এ চিঠি দিয়েছে পশু সুরক্ষার জন্য। তিনি আরো বলেন, মানুষের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আদেশ জারির মাধ্যমে সেখানে উট কিংবা গরু জবাই বা যেকোনো প্রাণী জবাই করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয়া হয়নি।

এর আগে প্রাণী কল্যাণ আইনকে উদ্ধৃত করে ‘অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকে পুলিশ এবং কর্তৃপক্ষকে পশু পাখির অবৈধ হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। যে চিঠিকে ঘিরেই মূলত কোরবানী নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

এই নির্দেশনার পরপরই জম্মু-কাশ্মীরের মুসলিম সংগঠন মুত্তাহিদা মজলিস-এ- উলামা (এমএমইউ) এ ঘটনার প্রতিবাদে একটি বিবৃতি দেয়। এতে অভিযোগ করা হয়, মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবে বাধা দেয়া হচ্ছে এই নির্দেশনার মাধ্যমে। সংগঠনটি দ্রুত এটি প্রত্যাহার করে মুসলমাদের শান্তিপূর্ণভাবে পবিত্র ঈদুল আজহার রীতি নীতি পালন করতে দেয়ার আহ্বানও জানায়।

এ ঘটনার পর উত্তেজনা বিরাজ করছে কাশ্মীরের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে। কারণ মুসলমাদের অন্যতম একটি ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এই উৎসবে পশু জবাই ও মাংস গরিব দুস্থদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া তাদের ধর্মীয় রীতির একটি অংশ।

ভারতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গরুকে পবিত্র মাতা বলে বিবেচনা করেন। এর আগে ভারতে প্রকাশ্যে গরু জবাই ও মাংস খাওয়া নিয়ে সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।