পবিত্র হজ ১৯ জুলাই

হজ্ব বা হজ্জ বা হজ ইসলাম ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য একটি আবশ্যকীয় ইবাদত বা ধর্মীয় উপাসনা। এটি ইসলাম ধর্মের চতুর্থ স্তম্ভ। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে একবার হজ সম্পাদন করা ফরজ বা আবশ্যিক।

১৪৪২ হিজরির ৯ জিলহজ মোতাবেক আগামী ১৯ জুলাই আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমেই হজ পালন করবে মুসলিম উম্মাহ। হাদিসের ভাষায়- আল-হাজ্জু আরাফাহ অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়াই হজ। মহামারি করোনার কারণে যথাযথ স্বাস্থ্য নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নির্ধারিত সংখ্যক ৬০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান এ বছর হজে অংশগ্রহণ করবেন।

সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্টের তথ্য মতে, রবিবার (১১ জুলাই) জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। ১৯ জুলাই (সোমবার) ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে হাজিদের উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ এবং ২০ জুলাই (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হবে পবিত্র কুরবানি।

এর আগেই সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির সব মুসলিমকে (৯ জুলাই মোতাবেক ২৯ জিলকদ) এ মর্মে চাঁদ দেখার আহ্বান জানান, কেউ যদি দেশের কোথাও খালি চোখে অথবা টেলিস্কোপে চাঁদ দেখতে পান, তাহলে যেন দেশটির নিকটস্থ আদালতে জানিয়ে দেন।

এদিকে সৌদি আরবের সব গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরবের রিয়াদে জিলহজের চাঁদ দেখার জন্য কেন্দ্রীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সৌদি সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে চাঁদ দেখার জন্য গঠিত কমিটি সৌদি আরবের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চাঁদ দেখা কমিটি আগামী রবিবার (১১ জুলাই) সৌদিতে জিলহজের প্রথম তারিখ ঘোষণা করেন। সে অনুযায়ী হজের গুরুত্বপূর্ণ রোকন উকুফে আরাফা আরাফা তথা এবারের হজ ১৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। দেশটিতে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) কুরবানির ঈদ উদযাপন করা হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ২০ জুলাই সৌদি আরব ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ আরও বেশ কিছু দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।