বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা হচ্ছে ২১ জুলাই

পবিত্র ঈদুল আজহা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি। চলতি কথনে এই উৎসবটি কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। এই উৎসবকে ঈদুজ্জোহাও বলা হয়। ঈদুল আজহার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল ত্যাগ করা।

মুসলিম জাহানের জন্য খুশির বার্তা নিয়ে বছর ঘুরে আবারও আসছে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রতি প্রিয় বান্দা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তাঁর পুত্র হজরত ইসমাঈলের (আ.) সীমাহীন ভক্তি, সর্বোচ্চ ত্যাগের সদিচ্ছা এবং গভীরতম আত্মসমর্পণে পরম করুণাময় সন্তুষ্ট হন এবং তিনি ইব্রাহিমকে (আ.) আত্মত্যাগ ও ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ পশু কোরবানি করতে নির্দেশ দান করেন।

নতুন খবর হচ্ছে, সৌদিআরবের জ্যোতির্বিদ ও গবেষক ড. খালেদ আল-যাকাক, জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী আরবি চন্দ্র মাসের হিসেবে দেখে এবারের জিলক্বদ মাস ৩০ দিন পূর্ণ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এছাড়া, টাইমঅ্যান্ডডেট ডটকম আগামী ২১ জুলাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন হিসেবে উল্লেখ করেছে। ঈদুল আজহা যদিও চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। প্রতি হিজরির বছরের ১০ জিলহজ ঈদুল আজহা তথা কুরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হওয়ার আরবি তারিখ নির্ধারিত। তারিখটি চন্দ্র মাসে নির্ধারিত হওয়ার কারণেই তা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। এ বছর কুরবানির ঈদ কবে হবে তা নিশ্চিত করে জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ১১ জুলাই পর্যন্ত।

সৌদি আল-আরাবিয়া চ্যানেলে বিবৃতিতে জানিয়েছে, জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখ পবিত্র আরাফা দিবস ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ১৯ জুলাই এবং ঈদুল আজহা ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে বুধবার (২১ জুলাই) হতে পারে পবিত্র ঈদুল আযহা।

বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, মাসের প্রথম ও শেষ দিনগুলোকে ক্রিসেন্ট পর্ব (ডুবন্ত চাঁদের চিহ্ন) বলা হয় এবং এরপরই জিলক্বদ মাসের পর থেকে চাঁদ প্রতিদিন সূর্য থেকে পশ্চিমে সরে যায়, তার হিসেবে পশ্চিম দিকের সূর্যাস্তের পরে চাঁদের উত্থান মাসের শেষের দিকে এবং নতুন মাসের শুরু হওয়ার চূড়ান্ত প্রমাণ।