ঈদুল আযহা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি। এই উৎসবটি কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। কুরবানী এর অর্থ হলো ‘ত্যাগের উৎসব’। এই দিনে আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে কুরবানী দিয়ে থাকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। আগামী বুধবার (২১ জুলাই) স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল আযহা সারাদেশে পালিত হবে। ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে রাজধানী ঢাকা ছাড়বে সাধারণ মানুষ।
করোনাকালে আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে শিথিল হয়ে যাচ্ছে। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে গণপরিবহন। খুলবে থাকবে শপিংমল ও দোকানপাট। কোরবানির পশু কেনাকাটা ও ঈদে মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ সোমবার (১২ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে এ বিষয়ক নথি অনুমোদন হয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এসেছে। ঈদ উপলক্ষে শিথিল শাটডাউনের আট দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক আসন ফাঁকা রেখে চলবে সব গণপরিবহন। খুলে দেয়া হবে দোকানপাট, শপিং মল। এ সময়ে সরকারি অফিস ভার্চুয়ালি খোলা থাকলেও বন্ধ থাকবে বেসরকারি অফিস।
উল্লেখ্য, ১৫ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত শাটডাউন শিথিলের আদেশ কার্যকর থাকবে। ঈদের পর আবারও দুই সপ্তাহের শাটডাউনে যাবে দেশ।