মানুষের ভালোবাসাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন: চঞ্চল চৌধুরী

চঞ্চল চৌধুরী একজন বাংলাদেশি অভিনেতা, মডেল, শিক্ষক ও গায়ক। ছোট ও বড় পর্দার অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে কেউ ‘কিংবদন্তি’ অভিহিত করে প্রশংসা করলে তিনি আনন্দিত বা গর্বিত হওয়ার চেয়ে অনেক বেশি ‘বিব্রত’ হন বলে জানান তিনি।

গতকাল সোমবার (৫ জুলাই) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে একজন অটিস্টিক শিশুকে নিয়ে ভিডিও শেয়ার করেছেন চঞ্চল চৌধুরী।

ফেসবুকে চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না…অতি প্রশংসা বা সম্মান প্রদর্শনের আরেক নাম তৈল মর্দন…যেমন, মাঝে মধ্যেই আমার পোস্টের কমেন্টে বা ইনবক্সে আমাকে ‘কিংবদন্তি’ অভিনেতা হিসেবে অভিহিত করে অনেকেই অনেক প্রশংসা করে থাকেন। তাতে আমি আনন্দিত বা গর্বিত হওয়ার চেয়ে, অনেক বেশী বিব্রত হই…সোজা সাপ্টা কথা বলি…আসলে এত বড় ‘বিশেষণ’ ধারণ করার যোগ্যতা আমার নেই। ‘অভিনেতা’ বা ‘ প্রিয় অভিনেতা’ এটুকু বললেই আমি মহা আনন্দিত বা আহ্লাদিত হই।

চঞ্চল চৌধুরী আরও লিখেছেন, সকলের অবগতির জন্য বলি, জীবিত কালেই যদি সকল ‘উপাধি’এবং ‘বিশেষণ’ প্রদান শেষ হয়ে যায়, তাহলে মৃত্যুর পরে দেবার মত এরকম ‘বিশেষণ’ বা ‘উপাধি’র আকাল হবে। একজন মানুষকে অতি প্রশংসায়, এমন উচুঁতে কখনো তোলা উচিত নয়, যাতে সেখান থেকে পড়ে গিয়ে তার ঠ্যাং হাত পা ভেঙে যায়…কারণ, একজন মানুষ যত বেশী প্রশংসিত হন, তার গালি খাওয়ার রাস্তাটিও ততই সুপ্রশস্ত হয়। আমার কাছে সবচেয়ে বড় উপাধি ‘একজন ভালো মানুষ।

নিজের শেয়ার করা ভিডিওটির প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, নীচের ভিডিও তে যে ছেলেটাকে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, ওর নাম ‘হৃদয়’। কিছুদিন আগে উত্তরায় একটা শুটিং লোকেশনে ওর সাথে দেখা….দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। তারপরের অংশটুকু আমার মেকআপ আর্টিস্ট মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেছিলো। এতো মানুষের ভালোবাসা… এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন, শ্রেষ্ঠ পুরস্কার…।