মুসলিম দেশের সেনাসদস্য বলে এতদিন তুর্কি বাহিনীর ওপর হামলা চালাইনি: তালেবান

আফগানিস্থান থেকে মার্কিন সেনারা নিজ দেশে চলে যাওয়ার ঘোষণার পর থেকে আফগান সেনাদের হটিয়ে এক একটি জেলা দখল করে নিচ্ছে তালেবানরা। এরপর তুর্কি সেনারা কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নি‍য়ে আফগানিস্তানে সেনা রাখার ঘোষণায় এবার তুরস্কের ওপর চটেছেন তালেবান যোদ্ধারা।

গতকাল সোমবার (১২ জুলাই) তুরস্ককে হুশিয়ার করে তালেবান বলেছে, আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো ও মার্কিন সেনারা চলে যাওয়ার পর তুর্কি সেনারা কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিলে তাদের দখলদার হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

সম্প্রতি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ঘোষণা দেন, বিদেশি সেনারা আফগান ত্যাগ করলে ন্যাটোর প্রতিনিধি হিসেবে তুর্কি সেনারা কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ আফগানিস্তানে বর্তমানে পাঁচ শতাধিক তুর্কি সেনা রয়েছে।

গণমাধ্যমকে তালেবান মুখপাত্র নাজিবুল্লাহ বলেন, বিগত ২০ বছর ধরে ন্যাটোর সদস্য দেশ হিসেবে তুরস্কের সেনা সদস্যরা আফগানিস্তানে ছিলেন। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট আফগান ছেড়ে চলে তা হলে আমরা তাদের দখলদার হিসেবেই বিবেচনা করব। মুসলিম দেশের সেনাসদস্য বলে আমরা এতদিন তুর্কি বাহিনীর ওপর কোন হামলা চালাইনি। কিন্তু কাবুল বিমানবন্দর নিয়ে আঙ্কারা তার সিদ্ধান্ত না পাল্টালে আমরা এখন থেকে তাদের আর ছাড় দেব না।

বিদেশি কূটনীতিকদের আফগানিস্তানে যাতায়াত নিরাপদ রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুরোধে এ সিদ্ধান্ত নেন এরদোগান।